১৫ জন আবেদন করলেও, এর মধ্যে চার জনের বয়স বেশি হওয়ার কারণে তাঁদের আবেদন বাতিল হয়ে গিয়েছে। ফাইল চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গের চিফ ইনফরমেশন কমিশনার পদের জন্য মোট ১৫ জন আবেদন করেছেন। এই তালিকায় রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। মুখ্যসচিবের পদ থেকে অবসর নেওয়ার পর সরকারি সংস্থা রাজ্য শিল্প উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান হন তিনি। এখন অবশ্য রাজীব রাজ্য শিল্প পরিকাঠামো উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান। সেই পদে থেকেই তিনি রাজ্যের মুখ্য তথ্য কমিশনার পদের জন্য আবেদন করেছেন। চিফ ইনফরমেশন কমিশনারের পদটি গত ৬ মাসের বেশি সময় ধরে খালি পড়ে রয়েছে। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বশেষ এই পদে ছিলেন। সম্প্রতি রাজ্য সরকার এই শূন্যপদ পূরণের বিষয়ে উদ্যোগী হয়।
যে ১৫ জন এই পদের জন্য আবেদন করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন আমলা, প্রাক্তন পুলিশকর্তা থেকে শুরু করে সাংবাদিকরাও। আবেদনকারীদের মধ্যে দুই অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস আধিকারিক রয়েছেন, যাঁরা এখন ইনফরমেশন কমিশনের সদস্য। এঁরা হলেন প্রাক্তন পুলিশ কর্তা বীরেন্দ্র ও রাজ কানোজিয়া। কমিশনের বর্তমান সদস্য অবসরপ্রাপ্ত আইএএস আধিকারিক নবীন প্রকাশও আবেদনকারীদের মধ্যে রয়েছেন। অবসরপ্রাপ্ত আরও এক আইএএস আধিকারিক চিফ ইনফরমেশন কমিশনার পদের জন্য আবেদন করেছেন। তাঁরা হলেন সদ্য অতিরিক্ত মুখ্য সচিবের পদ থেকে অবসর নেওয়া সুব্রত বিশ্বাস। এই পদের জন্য আবেদন করেছেন স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (সাই)-র কর্তা প্রণয় দে। এ ছাড়াও এনটিপিসি-র কর্তা সুব্রতমোহন পালও এই পদের জন্য আবেদন করেছেন।
একটি সরকারি সূত্র জানাচ্ছে, ১৫ জন আবেদন করলেও, এর মধ্যে চার জনের বয়স বেশি হওয়ার কারণে তাঁদের আবেদন বাতিল হয়ে গিয়েছে। বাকি ১১ জনের মধ্যে থেকে এক জনকে চিফ ইনফরমেশন কমিশনার নিয়োগের জন্য ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার বিশেষ কমিটি গঠন করেছে। তিন জনকে নিয়ে তৈরি এই কমিটির বৈঠক হতে পারে শীঘ্রই। উচ্চ পর্যায়ের তিন সদস্যের এই নিয়োগ কমিটিতে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই কমিটি বৈঠক করে রাজ্যের আগামী চিফ ইনফরমেশন কমিশনারের নাম চূড়ান্ত করবে।