প্রতীকী ছবি।
কমের দিকে রাজ্যের ডেঙ্গি সংক্রমণ। গত কয়েক মাসে মশাবাহিত এই রোগ রাজ্যবাসীকে যে ভাবে ভুগিয়েছে, সেই প্রকোপ এখন অনেকটাই কম। গত সপ্তাহেও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা যেখানে দু’শোর উপর ছিল, রবিবার তা কমে একশোর কাছাকাছি নেমে এসেছে। তবে পরিস্থিতি যে এখনও বিপন্মুক্ত নয়, তা বুঝিয়ে দিচ্ছেন স্বাস্থ্য কর্তারা।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১৯২৪ জনের ডেঙ্গি পরীক্ষা হয়েছে। তার মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে ১২৪ জনের শরীরে। স্বাস্থ্যকর্তারা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, কিছু দিনের মধ্যেই সংক্রমণ হয়তো একেবারে তলানিতে চলে যাবে। তবে, সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ একটি ব্যাপারে এক মত যে, ডেঙ্গি মোকাবিলায় কার্যত সারা বছরই কাজ করে যেতে হবে। কারণ, ঠান্ডা কমলেই আবার ডেঙ্গির ভাইরাস বহনকারী এডিস ইজিপ্টাই প্রজাতির মশার হানাদারি শুরু হতে পারে। সেই কারণে সাধারণত এপ্রিল মাস থেকে বিভিন্ন পুরসভা ডেঙ্গি রোধের কাজে জোর দেয়।
এ বছর ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত নিয়ে অনেকেই প্রশাসনকে দায়ী করেছেন। অনেকের পর্যবেক্ষণ, মশার আঁতুড়ঘর ধ্বংস করতে না পারলে এই রোগ ঠেকানো অসম্ভব। এ ক্ষেত্রে সরকারি উদ্যোগ যেমন জরুরি, তেমনই দরকার জনসচেতনতা। ডেঙ্গি নিয়ে সরকারি স্তরে গাফিলতি এবং জনসচেতনতাও রয়েছে কি না, উঠেছে সেই প্রশ্নও।