ফাইল চিত্র।
দেশে ফিরতে না-পেরে বিপাকে তবলিগি জামাতের ১০৮ বিদেশি সদস্য। এঁরা সবাই এয়ারপোর্টের কাছে হজ হাউসে কোয়রান্টিন সেন্টারে রয়েছেন। মার্চে দিল্লির নিজামউদ্দিনে তবলিগি জামাতে উপস্থিত থাকার জন্য এঁদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি ক্রাইম ব্রাঞ্চ। এঁদের মধ্যে মায়ানমারের ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলার শুনানি আজ, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে হওয়ার কথা।
সূত্রের খবর, লকডাউন ঘোষণার পর, মার্চের শেষে হজ হাউসে তবলিগি জামাতের মোট ৩০১ জন সদস্যকে কোয়রান্টিনে রাখা হয়েছিল। ওঁরা দিল্লি থেকে এ রাজ্যে এসেছিলেন। সকলের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে আগেই। এঁদের মধ্যে ১৯৩ জন ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের বাসিন্দা। তাঁরা আগেই বাড়ি ফিরেছেন। কিন্তু সমস্যা ১০৮ জন বিদেশিকে নিয়ে। এঁদের মধ্যে বাংলাদেশের ১৯ জন, ইন্দোনেশিয়ার ৩৪, মালয়েশিয়ার ৯ জন, তাইল্যান্ডের ২১ জন, মায়ানমারের ২৫ এবং আমেরিকার এক জন। সূত্রের খবর, এঁদের বিরুদ্ধে ৩১ মার্চ মহামারি প্রতিরোধ আইন, বিপর্যয় মোকাবিলা আইন এবং ফরেনার্স অ্যাক্ট ১৯৪৬ ধারায় মামলা করেছে দিল্লি পুলিশ। বলা হয়েছে, দেশে ফিরতে হলে ওঁদের দিল্লি বিমানবন্দর হয়ে ফিরতে হবে।
মামলার খরচ দেশগুলির দূতাবাস বহন করছে। তবে এঁদের থাকা-খাওয়ার খরচ হজ হাউসের। রাজ্য হজ কমিটির চেয়ারম্যান, সাংসদ নাদিমুল হক বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশ মতো আমরা ওঁদের রাখছি।’’ আইনজীবী জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, ‘‘ওই বিদেশিরা সত্যিই বিপাকে পড়েছেন। ওঁদের দেশে ফিরে যাওয়ার কোনও উপায় ছিল না। এঁদের প্রতি প্রশাসনের আরও যত্নবান হওয়া দরকার ছিল।’’