বিজেপি নেতা মুকুল রায়। —ফাইল চিত্র
বিজেপির ‘দখল’ করা এক একটি পুরসভা আবার যখন তৃণমূলে ফিরতে শুরু করেছে, তখনই বিজেপি নেতা মুকুল রায় একটি কাগজ দেখিয়ে দাবি করলেন, রাজ্যের ১০৭ জন বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিতে প্রস্তুত।
কাগজে কী লেখা রয়েছে বা কারা দলত্যাগে ইচ্ছুক বিধায়ক, কিছুই স্পষ্ট করেননি মুকুল। শনিবার সাংবাদিকদের তিনি শুধু বলেন, ‘‘খুব শীঘ্রই ১০৭ জন বিধায়কের নাম দেখাব, যাঁরা দল ছাড়ার জন্য প্রস্তুত।’’ ওই তালিকায় তৃণমূল, কংগ্রেস, সিপিএম— সব দলেরই বিধায়ক থাকলেও বেশিরভাগই শাসক তৃণমূলের বলেই তাঁর দাবি।
যার প্রেক্ষিতে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, ‘‘শুধু যাওয়া-আসা হচ্ছে। চমক একটাই, যাঁরা যাচ্ছেন, তাঁরা আবার ফিরে আসছেন। যিনি নিয়ে যাচ্ছেন, তিনি নিজেও জানেন চার দিন পরে আবার সবাই ফিরে আসবে। কে না চায় মায়ের কোলে ফিরে আসতে! দাদার রুমাল কেউ চায় না।’’
যুব কংগ্রেস সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, ‘‘যিনি নিজের পাড়ার ১০ জন কাউন্সিলরকে ধরে রাখতে পারেন না, তাঁর এক জন বিধায়কের সঙ্গে কথা বলার অধিকার নেই। গত একমাসে যে জনপ্রতিনিধিরা বিজেপিতে গিয়েছিলেন, তাঁরা আবার আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।’’
লোকসভা ভোটের আগে রাজ্যে প্রচারে এসে নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, ‘‘তৃণমূলের ৪০ জন বিধায়ক আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।’’ ভোট মিটতেই মূলত মুকুলের মধ্যস্থতায় তাঁর পুত্র-সহ তৃণমূলের কয়েক জন বিধায়ক বিজেপিতে যোগও দিয়েছেন। লাভপুরের মণিরুল ইসলামের মতো কোনও কোনও বিধায়ককে নিয়ে বিজেপিতে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।