—প্রতীকী ছবি।
মার্চের গোড়াতেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসতে চলেছে। দু’দফায় মোট ১৫০ কোম্পানি বাহিনীর আসার কথা। প্রথম দফার ১০০ কোম্পানির মধ্যে কোন জেলায় কত বাহিনী মোতায়েন করা হবে, তা জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন।
কমিশন সূত্রে খবর, জেলা, পুলিশ জেলা ও কমিশনারেট এলাকার হিসাবে বাহিনীর বণ্টন করা হয়েছে। প্রথম দফায় কলকাতায় সাত কোম্পানি বাহিনী আসছে। এটাই সব চেয়ে বেশি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলা পূর্ব মেদিনীপরে পাঁচ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হবে। সন্দেশখালি যে পুলিশ জেলার অন্তর্গত, সেই বসিরহাট পুলিশ জেলায় মোতায়েন করা হবে তিন কোম্পানি বাহিনী। আপাতত ভাবে ভোটারদের আস্থা বাড়ানোর কাজ করবে। নিয়ম করে রাজ্যের সব বুথে ঘুরবেন জওয়ানেরা। স্পর্শকাতর এলাকায় একাধিক বার রুটমার্চ করবে বাহিনী।
কোথায় কত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে, তা নিয়ে বুধবার বৈঠক করেছিলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব, রাজ্য পুলিশের নোডাল অফিসার আনন্দ কুমার, সিআরপিএফের আইজি বিকে শর্মা-সহ কমিশনের অন্যান্য আধিকারিকেরা। সেই বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত হয়।
গত লোকসভা ভোটের দিন ঘোষণার পরে রাজ্যে এসেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। এ বার নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগেই আসতে চলেছে। শুধু তা-ই নয়, ৪ মার্চ রাজ্যে আসছে কমিশনের ফুল বেঞ্চ। ৫ মার্চ তারা বৈঠক করবে সব রাজনৈতিক দল, পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে। সূত্রের দাবি, স্পর্শকাতর ও সংবেদনশীল বুথের তালিকা হাতে নিয়েই বৈঠকে বসতে চাইছে তারা। তা নজরে রেখেই আগে ১০০ কোম্পানি রাজ্যে পাঠানো হচ্ছে বলে খবর কমিশন সূত্রে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে লোকসভা ভোটের নিরাপত্তায় এ রাজ্যের জন্য মোট ৯২০ কোম্পানি বাহিনী চেয়েছে কমিশন। যা দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের চেয়ে বেশি। কমিশনের সূত্রে খবর, ১ মার্চের মধ্যেই রাজ্যে পৌঁছে যেতে পারে প্রথম দফার ১০০ কোম্পানি বাহিনী। সেই বাহিনীর কোথায় কত কোম্পানি যাবে, বুধবার জানিয়েছে কমিশন। সূত্রের দাবি, দ্বিতীয় দফার ৫০ কোম্পানি পৌঁছতে পারে ৭ মার্চের মধ্যে।