এক নজরে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
রাজ্যে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সর্বশেষ তিনশো টপকেছিল গত ৩০ জানুয়ারি। ৪৬ দিন পর বুধবার রাজ্যে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ফের একবার ৩০০ ছুঁয়ে ফেলল। সেই সঙ্গে মঙ্গলবারের তুলনায় বাড়ল সংক্রমণের হারও। এই নিয়ে টানা ৩ দিন দেড় শতাংশের বেশি সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যা ফের এক বার একশোর কাছাকাছি।
স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুধবারের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩০৩। যা গত ৪৬ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত ৩০ জানুয়ারি সর্বশেষ রাজ্যে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছিল ৩১০। এই নিয়ে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫ লক্ষ ৭৯ হাজার ১৫৬। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ (৯৬)। উত্তর ২৪ পরগনায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৭৪। এ ছাড়া হাওড়া (৩১), দক্ষিণ ২৪ পরগনা (২১) এবং পশ্চিম বর্ধমান (২০)-এ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দুই অঙ্কে। কালিম্পং এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে বুধবারও নতুন করে আক্রান্তের হদিশ মেলেনি।
দেড় মাস পর, বুধবার রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা আচমকাই তিনশো ছুঁয়েছে। ঘটনাচক্রে বুধবারই মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে দেশের সামগ্রিক করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মহারাষ্ট্র, কেরল, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ-সহ কয়েক রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় লক্ষ্যণীয় ভাবে সংক্রমণ বেড়েছে এ রাজ্যেও। দেশের এই পরিস্থিতি দেখে বিশেষজ্ঞদের একটি অংশের ধারণা, দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এসেছে।
মঙ্গলবারের তুলনায় বুধবার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে কিছুটা বেশি। ১৭ হাজার ৮৯১টি নমুনার মধ্যে কোভিড ধরা পড়েছে ৩০৩ জনের। স্বাস্থ্য দফতরের বুধবারের বুলেটিন অনুযায়ী, সংক্রমণের হার ১.৬৯ শতাংশ। যদিও মঙ্গলবার তা ছিল ১.৫০ শতাংশ। এই নিয়ে টানা ৩ দিন ধরে রাজ্যে সংক্রমণের হার দেড় শতাংশের বেশি, যা উদ্বেগজনক বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রতি দিন যে সংখ্যক কোভিড টেস্ট করা হয়, তার মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাকেই ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার বলা হয়।
বুধবার রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে করোনা আক্রান্ত এক রোগীর। তিনি উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা। এই নিয়ে রাজ্যে করোনায় প্রাণ হারালেন ১০ হাজার ২৯৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৭২ জন। এই নিয়ে রাজ্যে মোট সুস্থের সংখ্যা হল ৫ লক্ষ ৬৫ হাজার ৬৭০ জন। রাজ্যে এখন সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ১৮৮ জন। বুধবার রাজ্যে টিকাকরণ হয়েছে ২ লক্ষ ৭৮ হাজার ৯০৩ জনের। এই নিয়ে রাজ্যে মোট টিকাকরণ হল ২৮ লক্ষ ৮৬ হাজার ৯৫৫ জনের।