বেশ কয়েক বছর ধরেই প্রি ওয়েডিং শ্যুটের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। বিয়ের স্মৃতি ফিরে দেখার জন্য মনের মানুষের সঙ্গে থেকে যাক আস্ত একখানা স্বল্প দৈর্ঘ্যের ফিল্ম! একেবারে সিনেমার নায়ক-নায়িকাদের মতোই!
পরিচালনা থেকে সিনেমাটোগ্রাফি, রূপটান, সাজ- সব যেমন সুন্দর হতে হবে, তেমনই শ্যুটিং স্পটও চাই মানানসই। না হলে যে পুরোটাই মাটি! অতঃপর প্রি ওয়েডিংয়ের ডেস্টিনেশনের সুলুক সন্ধান। অন্য কোথাও ছুটতে হবে না, এই কলকাতাতেই কিন্তু রয়েছে বেশ কয়েকটি সুন্দর জায়গা, যা অনায়াসেই হয়ে উঠতে পারে আপনার প্রি ওয়েডিং শ্যুটের উপযুক্ত ঠিকানা।
প্রিন্সেপ ঘাট: গঙ্গা, রেললাইন, হুগলি ব্রিজ- সব মিলিয়ে এক মায়াময় পরিবেশ প্রিন্সেপ ঘাটের। ভোরের হুগলি ব্রিজ হোক অথবা সূর্যাস্তের লালচে আলো মাখা দুধসাদা থামের সামনে ছবি- দুইয়েরই এক অন্য সৌন্দর্য।
ময়দান: ট্রাম, ভাস্কর্য এবং সবুজ গালিচার এক অদ্ভুত মিশেল। ফলাফল? ছবিতে দুর্দান্ত ফ্রেম। ট্রামের হাত ধরে তাক লাগানো ভিডিয়ো ফুটেজও পাওয়া যেতে পারে এখানে।
ইকো পার্ক: ইদানিং ফোটোগ্রাফারদের পছন্দের তালিকায়। হরেক রকম বাগান, বোট রাইড, ইকো আইল্যান্ড, সপ্তম আশ্চর্যের আদলে স্থাপত্য- কী নেই ইকো পার্কের ভাঁড়ারে! আলাদা আলাদা স্টাইলে ছবি তোলার জন্য একেবারে আদর্শ। বহু আলোকচিত্রীর মতে, সূর্যাস্তের সময়ে ইকো পার্কে লেকের সামনে বেশ সুন্দর ছবি আসে।
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল: কলোনিয়াল কলকাতার প্রতীক ও সবুজ গালিচার মিশেল। দুধসাদা ইমারত, নীল আকাশ আর সবুজ ঘাস সব মিলেমিশে ছবিতে এক দুর্দান্ত এফেক্ট।
কুমোরটুলি: উত্তর কলকাতার অলিগলি, বনেদি বাড়ি আর কুমোরটুলি নিঃসন্দেহে শহরের সৌন্দর্য এবং আভিজাত্য ফুটিয়ে তোলে। তাই এখানে ছবি বা ভিডিয়ো না তুললে প্রি-ওয়েডিংয়ে একটি বিশেষ অংশ বাদ পড়ে যাওয়া।
বটানিক্যাল গার্ডেন: চার দিকে সবুজের ছড়াছড়ি। গাঢ় রঙের নানা ধরনের সুন্দর সুন্দর ছবি তুলতে পারেন এখানে। আর হ্যাঁ, শতাব্দীপ্রাচীন বট গাছের সঙ্গে ছবি তুলতে ভুলবেন না যেন!
জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি: সাবেকি সাজে ছবি তুলতে চাইলে জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির দালান, স্থাপত্য এবং গালিচা একেবারে যথাযথ। রবি ঠাকুরের বাড়ি বলে কথা! এক অন্য অনুভূতিও থাকবে বৈকি!
এ ছাড়াও হাওড়া ফুল বাজার, অ্যাকোয়াটিকা, ঢাকুরিয়া লেক, বো ব্যারাকেও ভাল ছবি তোলা যেতে পারে প্রি ওয়েডিংয়ের জন্য।