বিয়ের মরসুমে যখন পোশাকের বাহার মাত্রা ছাড়াচ্ছে তখন মেহেন্দির নকশাও হয়ে উঠুক নজরকাড়া।
১. অভিনব রাজকীয় মেহেন্দির নকশা: এক অপরূপ রাজপাটের দৃশ্য তুলে ধরা হয় এই মেহন্দির নকশায়। রাজকীয় বেশে বর-বধূর সব চিত্রই ধরা পড়ে দুই হাতে।
২. মুঘল ঘরানার মেহেন্দির নকশা :মুঘল যুগের নানা রাজকীয় নকশা ফুটে ওঠে এই মেহেন্দির নকশায়। হাতি, ঘোড়া, নবাব-বেগম ইত্যাদি নকশা ফুটিয়ে তোলা হয় মুঘল ঘরানার মেহেন্দির নকশায়।
৩. বর-বউ মেহেন্দি : আপনি যদি হাতজোড়া ঐতিহ্যবাহী মেহেন্দির নকশা পছন্দ করেন, তা হলে এই ধরনের মেহেন্দির নকশা আপনার জন্য এক্কেবারে আদর্শ পছন্দ হবে। এই মেহেন্দির বিশেষত্ব, কনের হাতে বর এবং কনের বিয়ের সাজ তুলে ধরা হয়।
৪. প্রথাগত মেহেন্দির নকশা: বিয়েতে প্রথাগত মেহেন্দি সকলের পছন্দের। নানা রকমের কল্কা করে এই মেহেন্দির নকশা করা হয়। তবে শুধু হবু কনেরাই নয়, এই ধরনের মেহেন্দি বাড়ির আত্মীয়রাও পরতে পারেন।
৫. আরবি মেহেন্দির নকশা: আরবি মেহেন্দির নকশা এবং ভারতের প্রচলিত মেহেন্দির নকশার মধ্যে কিন্তু বেশ কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। ভারতীয় মেহন্দির নকশা অনেক বেশি ভরাট হয় আর সেখানেই আরবি মেহন্দির নকশা অনেকটা ফাঁকা ফাঁকা ভাবে আঁকা হয়।
৬. ছিমছাম মেহেন্দির ডিজাইন: যাঁরা হাল্কা সাজগোজেই স্বচ্ছন্দবোধ করেন, তাঁরা বিয়েতে এই ধরনের মেহেন্দির নকশা বেছে নিতে পারেন। এই ধরনের মেহেন্দিতে খুব হাল্কা নকশা থাকলেও দেখতে লাগে বেশ সুন্দর।
৮. মেহেন্দিতেও থাকুক ফুলের পরশ: শুধু বিয়ের দিনই নয়, সব অনুষ্ঠানেই ফুলের জুড়ি মেলা ভার। তাই বিভিন্ন ফুলের কল্কায় ফুটিয়ে তুলুন বিশেষ দিনের মেহেন্দির নকশা।
৯. ঝুমকো বা ঘন্টাকৃতি মেহেন্দির নকশা : অনেকেই খুব বেশি ভরাট মেহেন্দির নকশা পছন্দ করেন না। সে ক্ষেত্রে এ রকম ঝুমকো বা ঘণ্টাকৃতি মেহেন্দির নকশা করাতে পারেন। এ রকম নকশায় ঐতিহ্য এবং আধুনিকতা এই দুইয়ের মিশেল ফুটিয়ে তুলুন আপনার হাতে।
১০. রাজকীয় ঘরানার যুগলবন্দি: রাজস্থানি এবং মুঘল নকশার মেলবন্ধন ফুটে ওঠে এই মেহেন্দির নকশায়। বর-বউয়ের বিয়ের দৃশ্যে ভরে ওঠে দুই হাত।
১১. ঠিক যেন আয়নার মতো: অনেকেই চান দুই হাতে যাতে একই রকম মেহেন্দির ডিজাইন থাকে। যেমনটা হয় আয়নায়। দুই হাতে একই নকশা। হবু কনেরা অবশ্যই এই ধরনের নকশা করতে পারেন।