ধূমপানের বেশ কয়েকটি অস্বাস্থ্যকর দিক রয়েছে। সেগুলির সঙ্গে সঙ্গে এর ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ে ঠোঁটের ত্বকের উপরেও। দীর্ঘদিন ধূমপানের জেরে কালচে হয়ে যায় ঠোঁট।
সৌন্দর্য তো বটেই, কালচে ঠোঁঁটের প্রভাব পড়ে ব্যক্তিত্বেও। লেসার ট্রিটমেন্ট ছাড়াও কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে যাতে সহজেই রেহাই পাওয়া যায় এই বিড়ম্বনা থেকে। বিয়ের ঠিক আগে জেনে নিন, কী কী রয়েছে এই ঘরোয়া কৌশলের তালিকায়।
পাতিলেবুর রসের সঙ্গে অল্প পরিমাণে গ্লিসারিন মিশিয়ে নিন। প্রতিদিন ঠোঁটে মাখুন, দিনে দু’বার করে।
মধুর সঙ্গে চিনি আর কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। আলতো ভাবে ঠোঁটে মাখুন দশ মিনিটের মতো। তা ঠোঁট উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে।
ঠোঁট উজ্জ্বল রাখতে টোম্যাটোর রস বেশ কার্যকরী। প্রতিদিন দু’বার করে মাখুন।
বাদাম তেলের সঙ্গে মধু আর চিনি মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। এটি দিয়ে ঠোঁটে মোলায়েম ভাবে মালিশ করুন নিয়মিত। উজ্জ্বলতা ও কোমলতা দুই-ই বাড়বে।
এক টুকরো পাতিলেবুর উপরে একটু চিনি ছড়িয়ে নিন। ঠোঁটে মালিশ করুন। স্ক্রাবারের কাজ করে ঠোঁটের মৃত কোষগুলি দূর করে এটি।
কাঁচা বিটের টুকরো ঘষে নিয়ে ঠোঁটে এর রং লাগিয়ে রাখুন। ঠোঁটের প্রাকৃতিক গোলাপি রং ফিরে আসবে সহজেই।
ঠোঁটের যত্নে ব্রাশও কাজে আসতে পারে। ঠোঁটে সামান্য পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে ব্রাশ দিয়ে হাল্কা করে ঘষতে থাকুন। পাঁচ মিনিট পরে জল দিয়ে ধুয়ে নিন। পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করুন আর এক বার।
ল্যাকটিক অ্যাসিড ঠোঁট উজ্জ্বল করে। তাই খানিকটা কাঁচা দুধ তুলোয় করে নিয়ে ঠোঁটে ঘষে নিন। শুষ্ক ত্বক উঠে যায় এতে।
অনেক ক্ষেত্রে ঠোঁটের পরিচর্যায় কমলালেবুর বীজ কার্যকরী হয়ে ওঠে। কমলালেবু খাওয়ার সময়ে বীজগুলি রেখে দিন। এগুলি দিয়ে ঠোঁট পরিষ্কার করুন নিয়মিত।
দুধের মধ্যে কয়েকটি গোলাপের পাপড়ি রেখে তাতে গ্লিসারিন ও মধু মিশিয়ে নিন। ঠোঁটে এই প্রলেপটি মেখে রাখুন ১৫ মিনিটের মতো। তার পরে দুধ দিয়ে ঠোঁট মুছে ফেলুন। এই প্রক্রিয়ায় যত্ন নিতে পারেন প্রতিদিন।