আশি বছরের বৃদ্ধার প্যারাগ্লাইডিংয়ের ছবি শেয়ার করেছেন তাঁর নাতনি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
তাঁর পরনে শাড়ি। আর হাবে ভাবে ঝরে পড়ছে আত্মবিশ্বাস। যে প্যারাগ্লাইডিং করতে তাঁর হাঁটুর বয়সি ছেলেমেয়েদের অনেকেরই হাঁটু কাঁপে, তাতে তিনি ঝাঁপ দিলেন অনায়াসে। কে বলবে বয়স ৮০ পেরিয়ে গিয়েছে! কে বলবে তাঁর বয়সে অনেকেই বিছানায় শয্যাশায়ী। বরং তাঁকে দেখে মনে হতে পারে, ৮০ যদি এমন হয়, তবে এই আশিতে বার বার আসা যায়।
বয়স সংখ্যা মাত্র— কথাটা বলতে ভালো লাগে। কিন্তু বাস্তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সংখ্যার সঙ্গে আরও অনেক কিছু বয়ে নিয়ে আসে বয়স। বার্ধক্য এবং তজ্জনিত অসুস্থতা তো থাকেই। কখনও সখনও তার সঙ্গে আসে অথর্বতা। কিন্তু চাইলে যে বৃদ্ধ বয়সেও জীবনের আনন্দ উপভোগ করা যায় তা বুঝিয়ে দিলেন ওই আশীতিপর বৃদ্ধা। আশি বছর বয়সে তিনি প্যারাগ্লাইডিং করেছেন। তাঁর নাতনি সেই প্যারাগ্লাইডিংয়ের ভিডিয়ো ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছিলেন। সেটি ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে।ইনস্টাগ্রামে ইতিমধ্যেই ৩৯ লক্ষ বার দেখা হয় গিয়েছে সেই ভিডিয়ো।
ইনস্টাগ্রামে যিনি ওই ভিডিয়োটি পোস্ট করেছিলেন, তিনি জানিয়েছেন, ভিডিয়োর বৃদ্ধা তাঁর দিদা। তিনি এখন আর বেঁচে নেই। সাত বছর হল মৃত্যু হয়েছে তাঁর। ভিডিয়োটি যখন রেকর্ড করা হয়েছিল তখন তাঁর বয়স ছিল ৮০। খেলাচ্ছলেই প্যারাগ্লাইডিং করতে রাজি হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। জীবনের ঝুঁকি আছে, জেনেও অ্যাডভেঞ্চার থেকে পিছিয়ে আসেননি। বরং প্রতিটা মুহুর্ত উদযাপন করেছেন তিনি। যা তাঁর হবে ভাবেই স্পষ্ট।