ছবি: সংগৃহীত।
খাবারের খোঁজে নিজেদের এলাকা ছেড়ে প্রায়শই লোকালয়ে হানা দেয় হাতির দল। ফসল নষ্ট করে তছনছ করে দিনেদুপুরে দাপিয়ে বেড়ায় জনবসতি এলাকায়। রাস্তায় হাতির দেখা পেলে একদল অত্যুৎসাহী মানুষকেও দেখা যায় যারা হাতির পিছনে ছুটে গিয়ে তাদের উত্ত্যক্ত করেন। ঠিক এক রকম এক দৃশ্যের দেখা মিলল সম্প্রতি। জঙ্গল থেকে রাস্তায় বেরিয়েছিল এক গজরাজ। তাকে দেখেই বিরক্ত করা শুরু করেন এক যুবক। বন দফতরের আধিকারিক প্রবীণ কাসওয়ান নিজের এক্স হ্যান্ডল থেকে যে ভিডিয়োটি পোস্ট করেছেন, তাতে দেখা গিয়েছে এই দৃশ্য। আনন্দবাজার অনলাইনের হাতেও এসেছে সেই ভিডিয়ো। ১২ জানুয়ারি তিনি ভিডিয়ো পোস্ট করে ঘটনাটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কারণ হাতিকে বিরক্ত করার ফল যে মারাত্মক হতে পারে, তা নিয়ে বার বার সতর্ক করার পরও এই ঘটনা ঘটে চলেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
হাতির দেখা মিললে তার সঙ্গে সেল্ফি তুলতে মত্ত কেউ। কেউ হাতির লেজ ধরে টানাটানি করতেও বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেন না। বন্যপ্রাণীর সঙ্গে এই ধরনের আচরণ যে প্রাণঘাতীও হতে পারে, তাতে কুছ পরোয়া নেই তাঁদের। বনকর্মীরা বার বার সাবধান করলেও তাতে কান দিতে নারাজ কিছু মানুষ। সেই রকমই এক বিশাল হাতিকে উত্ত্যক্ত করার ছবি উঠে এসেছে এই ভিডিয়োয়। দেখা গিয়েছে, এক তরুণের পিছনে তাড়া করছে হাতিটি। খানিক দূর এসে হাতিটি দৌড়নো থামিয়ে দেয়। তা দেখে ওই যুবক আবার হাতিটির পিছু নিতে থাকেন। বিরক্ত হয়ে হাতিটি শুঁড় উঁচিয়ে যুবকের দিকে ধেয়ে আসে। ভয় পেয়ে পিছু হটেও আবার হাতিটির দিকে এগিয়ে যান যুবক। উপস্থিত জনতাও চিৎকার করে তাঁকে উৎসাহ দিতে থাকে। চিৎকারে ভয় পেয়ে হাতিটি রাস্তা পেরিয়ে ঝোপের দিকে এগোতে থাকে। সেই সময় রাস্তা পেরোনোর জন্য বেরিয়ে আসে আরও কয়েকটি হাতি। তাদের মধ্যে একটি হস্তিশাবকের কাছে ছুটে আক্রমণ করার ভঙ্গিতে এগিয়ে যান যুবক। যা দেখে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীরা।
এই কাণ্ড দেখে যুবকের উদ্দেশে প্রবীণ তাঁর পোস্টে লেখেন, আপনি যুবক, তাই আপনি হাতিদের হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে নিতে পারলেন। এই বিরক্ত হওয়া প্রাণীরা আগামী কয়েক দিন অন্য মানুষকে দেখলে শান্ত আচরণ করবে না৷ বন্যপ্রাণীদের বিরক্ত করবেন না, মজার জন্য তো নয়ই।