Viral

দু’পাশে রাস্তা নেই, তিন কোটি খরচ করে ফাঁকা মাঠে তৈরি হয়ে গেল সেতু! যত কাণ্ড বিহারে

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক প্রকল্পের অধীনে ২.৫ কিলোমিটার রাস্তা তৈরির কথা ছিল। সেই প্রকল্পের অংশ হিসাবে ওই সেতুটি নির্মিত হয়েছিল। খরচ হয়েছিল তিন কোটি টাকা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০২৪ ১৮:২৩
Share:

অদ্ভুত সেতু! ছবি: সংগৃহীত।

তিন কোটি টাকা খরচ করে ঘটা করে সেতু তৈরি হয়েছে গ্রামের মধ্যে। কিন্তু সেতুর দু’পাশে নেই কোনও রাস্তা। এমনই অদ্ভুত এক দৃশ্যের দেখা মিলল বিহারে। বিহারের আরারিয়া জেলায় মাঠের মাঝখানে ৩৫ ফুট লম্বা ওই সেতু তৈরি হলেও কোনও সংযোগকারী রাস্তা এখনও তৈরি হয়নি। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই হইচই পড়েছে রাজ্য জুড়়ে। ইতিমধ্যেই গ্রামীণ পূর্ত দফতরের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে জেলা প্রশাসন।

Advertisement

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক প্রকল্পের অধীনে ২.৫ কিলোমিটার রাস্তা তৈরির কথা ছিল। সেই প্রকল্পের অংশ হিসাবে ওই সেতুটি নির্মিত হয়েছিল। খরচ হয়েছিল তিন কোটি টাকা। সেতুটি পটনা থেকে প্রায় সাত ঘণ্টার দূরত্বে আরারিয়ার পরমানন্দপুর গ্রামের একটি মাঠে তৈরি হয়েছে। তবে স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় দেরি হওয়ায় প্রকল্পটি শেষ করা যায়নি।

বিহারের গ্রামীণ পূর্ত বিভাগের এক আধিকারিককে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জমি অধিগ্রহণ করে প্রথমে রাস্তা নির্মাণ শুরু করার পরিবর্তে গ্রামীণ পূর্ত বিভাগ প্রথমে একটি ৩৫ ফুট সেতু নির্মাণ করে। এর পর আর সেই প্রকল্প নিয়ে বিশেষ কোনও আগ্রহ দেখানো হয়নি।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দাদের অবশ্য দাবি, এমন কোনও রাস্তা নির্মাণ প্রকল্প ওই জায়গায় হওয়ার কথা ছিল বলে তাঁদের কাছে কোনও খবর ছিল না। মাঠের মাঝখানে সেতু নির্মাণ হতে দেখে তাঁরা বিস্মিতই হয়ে গিয়েছিলেন।

আরারিয়ার জেলাশাসক ইনায়েত খান এ বিষয়ে গ্রামীণ পূর্ত বিভাগের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘জমি পুরোপুরি হাতে না পেয়েও কী ভাবে সেতু তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তা নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement