Viral Video

স্ফীতোদর স্পষ্ট! ভিডিয়োয় অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর দিলেন প্রেমের টানে ভারতে আসা সেই পাক বধূ সীমা

ভাইরাল সেই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, সীমার বমি বমি ভাব রয়েছে, মাথা ঘোরাচ্ছে। তাঁর পাশেই রয়েছেন সচিন। ভিডিয়োতে সীমার স্ফীতোদরও দেখা গিয়েছে। এর পর সীমা এবং সচিনকে সন্তান হওয়ার খবর দিতে শোনা যায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৯:২৭
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

গত বছরের জুলাই মাস। প্রেমের টানে পাক বধূ সীমা হায়দারের ভারতে প্রবেশ নিয়ে বিস্তর হইচই পড়ে। অনেক জলঘোলাও হয়। তাঁর ভারতীয় প্রেমিক সচিন মীনা এবং সচিনের বাবা নেত্রপালকে গ্রেফতারও হতে হয়। গ্রেফতার হয়েছিলেন সীমাও। পরে সব মিটমাট হয়। সীমা হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেন। বিয়েও করেন যুগল। তবে ২০২৪ সালের শেষে এসে অন্য চমক দিলেন তাঁরা। সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসা একটি ভিডিয়োয় সচিনকে পাশে রেখে সীমা জানিয়েছেন, মা হতে চলেছেন তিনি। প্রাক্তন স্বামী গুলাম হায়দরের সঙ্গে আগে থেকেই চার সন্তান ছিল সীমার। এ বার তিনি পঞ্চম সন্তানের জন্ম দিতে চলেছেন বলে জানিয়েছেন। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। ভিডিয়োটি কবে ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছে তা-ও ওই ভিডিয়ো থেকে স্পষ্ট নয়। উল্লেখ্য, এই বছরের শুরুতে এক বার সীমার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর প্রকাশ্যে এসেছিল।

Advertisement

ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, সীমার বমি বমি ভাব রয়েছে, মাথা ঘোরাচ্ছে। তাঁর পাশেই রয়েছেন সচিন। ভিডিয়োয় সীমার স্ফীতোদরও দেখা গিয়েছে। এর পর সীমা এবং সচিনকে সন্তান হওয়ার খবর দিতে শোনা যায়। সীমাকে আরও বলতে শোনা যায় যে, তিনি সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

প্রসঙ্গত, অনলাইন গেম পাবজি খেলার সময় ২০১৯ সালে ভারতীয় যুবক সচিনের সঙ্গে পরিচয় হয় সীমার। সেখান থেকে প্রেম। যুবকের প্রেমে পড়ে প্রায় ১,৩০০ কিলোমিটার দূর থেকে ছুটে আসেন সীমা। একা নন, সঙ্গে ছিল তাঁর চার সন্তান, যাদের সবার বয়সই তখন সাত বছরের কম ছিল। ভিসা ছাড়া নেপালের মাধ্যমে বেআইনি ভাবে ভারতে প্রবেশ করার অভিযোগে গত বছরের ৪ জুলাই গ্রেফতার হন সীমা। তাঁকে আশ্রয় দিয়ে গ্রেফতার হন সচিন এবং তাঁর বাবা নেত্রপাল। পরে জামিনে ছাড়াও পান তাঁরা। এর পর সীমা হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেন এবং নেপালের পশুপতিনাথ মন্দিরে সচিনের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন। সীমার ভারতে অনুপ্রবেশ নিয়ে ক্রমশ ঘনীভূত হয়েছিল রহস্য। অনেকেই সীমাকে পাকিস্তানের গুপ্তচর বলে মনে করেছিলেন। জট ছাড়াতে তদন্তে নেমেছে উত্তরপ্রদেশ এটিএস এবং ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। সীমা আসলে কে? ভারতীয় প্রেমিকের টানে সীমান্ত পার করে আসা সাধারণ পাক বধূ, না কি পাকিস্তানি গুপ্তচর, তা-ই খুঁজে বার করতে এখনও নাকি তদন্ত চালাচ্ছেন গোয়েন্দা আধিকারিকেরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement