আনন্দে ভেসে যাচ্ছেন বিবাহবিচ্ছিন্না। ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
পরনে ঝকমকে লেহঙ্গা। ব্যাকগ্রাউন্ডে কখনও বেজে চলেছে ‘প্যার করকে পস্তায়া’। কখনও আবার ‘শাদি সে অচ্ছা তুম লে ফাঁসি’। বাদ পড়েনি ‘শীলা কি জওয়ানি’র মতো গানও। মঞ্চে একটানা দাঁড়িয়ে নাচ করেই যাচ্ছেন তরুণী। তাঁর আনন্দ কোনও বাধ মানছে না। তিনি যেন মুক্ত পাখি। মঞ্চের পিছনে ইংরেজি অক্ষরের বেলুন সাজিয়ে লেখা রয়েছে ‘ডিভোর্স মুবারক’।
সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিয়ো থেকে জানা যায়, তরুণীর সম্প্রতি বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। সেই উপলক্ষে বান্ধবীদের নিমন্ত্রণ জানিয়ে একটি পার্টির আয়োজন করেছেন তিনি (যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)। স্থানীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ওই তরুণী আদতে পাকিস্তানের বাসিন্দা। আমেরিকায় ব্যবসা করেন তিনি। তবে ঠিক কী কারণে তাঁর বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে তা জানা যায়নি।
ভিডিয়োর একটি অংশে দেখা যায় যে, ব্যাকগ্রাউন্ডে বেজে চলেছে, ‘ম্যায় বারিশ কর দু পয়সে কি, জো তু হো যায়ে মেরি’। অনুষ্ঠানে উপস্থিত এক অতিথির হাতে রয়েছে কাগজ ওড়ানোর যন্ত্র। সেই যন্ত্রটি তরুণীর দিকে তাক করে রেখেছেন সেই তরুণী। বিবাহবিচ্ছিন্না তরুণীর গায়ের উপর ঝরে পড়ছে সেই যন্ত্র থেকে বেরিয়ে আসা নকল টাকা। বিচ্ছেদের পর আনন্দে আত্মহারা তরুণীকে দেখে নেটব্যবহারকারীদের কেউ কেউ কটাক্ষ করেছেন। কেউ আবার খারাপ সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার জন্য তরুণীর সাহসের প্রশংসা করতেও পিছপা হননি।