বাইকে পাশ ফিরে বসে আছেন চালক। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
বাইক চলছে। তার এক দিকে ঘুরে পায়ের উপর পা তুলে আয়েশ করে বসে আছেন এক ‘সর্দারজি’। হাত দু’টিও তাঁর কোমরে রাখা। চোখমুখে হালকা মেজাজ। অথচ, বাইক ছুটছে সজোরে! পিছন দিক থেকে দেখলে মনে হয়, তিনি বাইকের পিছন দিকে বসে আছেন। সামনে চালকের আসনে আছেন অন্য কেউ।
কিন্তু ভিডিয়োর দৃশ্যপট একটু বদলাতেই আঁতকে উঠতে হয়। দেখা যায়, বাইকের চালকের আসনে আর কেউ নেই। ওই ‘সর্দারজি’ই বাইক চালাচ্ছেন। কিন্তু বাইকের হাতলের সঙ্গে তাঁর কোনও সংস্পর্শ নেই। কোন দিকে কী ভাবে বাইক এগোচ্ছে, তার দিকেও ভ্রুক্ষেপ করছেন না তিনি। নিজের খেয়ালে পাশ ফিরে বসে আছেন। যেন বাইক নয়, পাড়ার মোড়ে কোনও বেঞ্চের উপরে উঠে বসেছেন। বাইকটি নিজে নিজেই চলছে।
আসলে ‘অটো-পাইলট’ পর্যায়ে বাইকটি রেখেছিলেন ওই ব্যক্তি। সে ভাবেই বাইক চলছিল নিজে থেকে। এই পদ্ধতি অনেকে ব্যবহার করেন। কিন্তু প্রযুক্তির সাহায্যে বাইককে নিজের মতো চলতে দিয়ে কাউকে পাশ ফিরে বসে থাকতে এই প্রথম দেখা গেল। সে কারণেই ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। নানা জনে নানা কথা বলছেন ওই ‘সর্দারজি’কে নিয়ে। কেউ কেউ তাঁর সাহসকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন। কেউ আবার অহেতুক এই ঝুঁকি নেওয়ায় ‘সর্দারজি’র সমালোচনা করতেও ছাড়ছেন না।
যে রাস্তা দিয়ে তিনি বাইকটি চালাচ্ছিলেন, সেখান থেকে অন্য গাড়িও যাতায়াত করছিল। রাস্তা একেবারে ফাঁকা ছিল না। ফলে যে কোনও সময়েই দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। বিপদ দেখলে তাড়াতাড়ি সামনে ফিরে বাইকের হাতলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়াও চালকের পক্ষে সম্ভব ছিল না। কারণ তিনি সামনের দিকে ঘুরে ছিলেন না। বাইকের চলন্ত অবস্থায় সে দিকে ফিরতেও তাঁর বেশ কিছুটা সময় লাগার কথা। ফলে অনেকেই এই কাজের সমালোচনা করেছেন। যদিও ভাইরাল ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।