Viral Video

বন্দুক নয়, যেন বাসন! ব্রাশ দিয়ে ঘষেমেজে পরিষ্কার করছেন মহিলা, ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই তৎপর পুলিশ

ব্রাশ দিয়ে ভাল করে মেজে আবার জল দিয়ে ধুতে শুরু করলেন ওই মহিলা। হাতে কোনও বাসন-কোসন নেই। বরং একের পর এক পিস্তল ধুয়েমুছে পরিষ্কার করছেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০২৪ ১১:৩৯
Share:

পিস্তল ধুয়েমুছে সাফ করছেন মহিলা। ছবি: এক্স থেকে নেওয়া।

চারদিকে কী ঘটছে তা নিয়ে কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই মহিলার। পরিষ্কারের কাজেই মন দিয়েছেন তিনি। পাশ থেকে ভেসে আসছে একটি পুরুষ কণ্ঠ। মহিলাকে নির্দেশ দিতে গিয়ে বলছেন, ‘‘জলের মধ্যে ডিটারজেন্ট মিশিয়ে পরিষ্কার করলে আরও চকচক করবে।’’ ব্রাশ দিয়ে ভাল করে মেজে আবার জল দিয়ে ধুতে শুরু করলেন ওই মহিলা। হাতে কোনও বাসন-কোসন নেই। বরং একের পর এক পিস্তল ধুয়েমুছে সাফ করছেন তিনি। সমাজমাধ্যমে এমনই এক ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)।

Advertisement

৯ অগস্ট ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় তা নজর কেড়েছে পুলিশের। খোঁজখবর করে পুলিশ জানতে পারে যে, ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের গণেশপুর গ্রামের। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই গ্রামে বেআইনি ভাবে অস্ত্র তৈরির কারখানা রয়েছে। মহুয়া থানার পুলিশ সাইবার অপরাধ দমনকারী শাখার সাহায্যে তল্লাশি শুরু করে জানতে পারেন যে, ওই কারখানার মালিক শক্তি কপূর ওরফে ছোটু। পুলিশের অনুমান, ভিডিয়োয় যে মহিলাকে দেখা যাচ্ছিল তিনি ছোটুর স্ত্রী। তাঁকেই বন্দুক পরিষ্কার করতে দেখা যাচ্ছিল ভিডিয়োয়।

পুলিশ যে তাঁর খোঁজ করতে কারখানার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে, সে খবর আগেই পেয়ে গিয়েছিলেন ছোটু। খবর পেয়ে ছোটু তাঁর বাবা বিহারীলালকে নিয়ে বাইকে চেপে পালিয়ে যান বলে পুলিশের দাবি। পিছু নিয়ে অভিযুক্তকে পাকড়াও করে পুলিশ। পালানোর সময় বাইক থেকে পড়ে দিয়ে চোটও পেয়েছেন ছোটু। পুলিশ জানায়, ছোটুর সঙ্গে একটি বস্তা ছিল। বস্তার ভিতরে ছিল অস্ত্র তৈরির নানা সামগ্রী। তা ছাড়া ছিল ৩১৫ বোরের একটি পিস্তল, ৩১৫ বোরের ডবল ব্যারেলের বন্দুক এবং একটি ১২ বোরের পিস্তল। পুলিশ ছোটু এবং তাঁর বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। বেআইনি অস্ত্র কারখানা নির্মাণের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখছে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement