—প্রতীকী ছবি।
সকালবেলা চার বছরের পুরনো প্রেমিকাকে বিয়ে। একই দিনে সন্ধ্যায় বাড়ির পছন্দ করা পাত্রীর সিঁথিতেও সিঁদুর! তবে দু’টি বিয়ে করেও লুকিয়ে রাখতে পারলেন না উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের যুবক। দীর্ঘ দিনের প্রেমিকা তথা প্রথম স্ত্রী পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়েরের পরেই বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে আসে। খবরটি প্রকাশ্যে আসতেই যুবকের কাণ্ড শুনে হইচই পড়ে গিয়েছে সে রাজ্য জুড়ে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে সমাজমাধ্যমেও।
সংবাদমাধ্যম ‘নবভারত টাইমস’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই যুবকের প্রথম স্ত্রীর দাবি, বিগত চার বছর ধরে সম্পর্কে ছিলেন তাঁরা। সেই সময় তিনি দু’বার অন্তঃসত্ত্বাও হয়ে পড়েন। দু’বারই গর্ভপাত করিয়েছিলেন। পরে মন্দিরে বিয়ে করেন তাঁরা। তবে তিনি আবার অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তাঁর প্রেমিক তাঁকে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করান। অনেক বারণ সত্ত্বেও সন্তান প্রসবের পর সদ্যোজাত শিশুটিকে নার্সকে দিয়ে দেন তাঁর প্রেমিক। এর কিছু দিন পরে তিনি জানতে পারেন, প্রেমিকের পরিবার ইতিমধ্যেই অন্য জায়গায় তাঁর বিয়ে ঠিক করে ফেলেছে।
মহিলার দাবি, এর পর তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার কথা বললে প্রেমিক তাঁকে আশ্বস্ত করেন এবং আইনি বিয়ে করেন। তবে তিনি জানতেন না যে, তাঁদের আইনি বিয়ে হওয়ার দিন সন্ধ্যাতেই বাড়ির পছন্দ করা পাত্রীকে বিয়ে করেছেন তাঁর প্রেমিক। বিষয়টি জানতে পেরে তরুণের বাড়িতে উপস্থিত হন তাঁর প্রথম স্ত্রী। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোক জন তাঁকে অপমান করে তাড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ। এর পরেই পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা।
মহিলার অভিযোগের পর পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে। গোরক্ষপুরের পুলিশকর্তা জিতেন্দ্র কুমার শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন যে, ওই যুবকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।