ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
৪৩-৩৭ পয়েন্টে অন্য দলের কাছে ম্যাচ হেরে গিয়েছে ছাত্রীদের দল। পরাজয়ের পর সকলে বেঞ্চে দাঁড়িয়েছিলেন। হার মেনে নিতে না পেরে তাঁদের মধ্যে এক জন তরুণী কাঁদতে শুরু করেন। দূর থেকে তা দেখতে পান দলের কোচ। শাস্তি দিতে সেই তরুণীর ঝুঁটি ধরে টেনে দেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, চিৎকার করে বকাবকি করতে শুরু করেন সেই তরুণীকে। সমাজমাধ্যমে এই দৃশ্যের ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
‘কিরা’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে, এক তরুণীর ঝুঁটি ধরে টেনে তাঁকে বকাবকি করছেন এক বৃদ্ধ। তরুণীর বান্ধবী আপত্তি জানালে সেই তরুণীকেও বকাবকি করতে শুরু করেন ওই বৃদ্ধ। ঘটনাটি আমেরিকার নর্থ ভিলে হাই স্কুলের ছাত্রী হেলি মনরো এবং তাঁর বাস্কেটবল কোচ জিম জ়ুলোর মধ্যে ঘটেছে। ৮১ বছর বয়সি জিম সেই স্কুলের পড়ুয়াদের বাস্কেটবলের প্রশিক্ষণ দেন।
সম্প্রতি সেই স্কুলের সঙ্গে বাস্কেটবল প্রতিযোগিতায় নেমেছিল লা ফ্রেজভিলে নামের একটি দল। ছয় পয়েন্টের ব্যবধানে সেই দল জিতেও যায়। পরাজয় মেনে নিতে পারেননি নর্থ ভিলে হাই স্কুলের ছাত্রীরা। বেঞ্চে দাঁড়িয়ে অন্য দলের উদ্যাপন করা দেখছিলেন তাঁরা। সেখানে দাঁড়িয়েছিলেন হেলি। শার্ট দিয়ে চোখের জল মুছছিলেন তিনি। হঠাৎ পিছন থেকে দৌড়ে আসেন সেই দলের কোচ জিম। চুল বেঁধেছিলেন হেলি।
পিছন থেকে এসে হেলির ঝুঁটি ধরে টেনে দেন জিম। ম্যাচ হেরে যাওয়ার জন্য তাঁকে বকাবকি করতে শুরু করেন জিম। কাঁদতে কাঁদতে হেলি সেখান থেকে সরে যান। হেলির বান্ধবী আমায়া টম্পকিন্স এই ঘটনার প্রতিবাদ করেন। জিম তাঁকেও বকাবকি করতে শুরু করেন। এই ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় তা স্কুল কর্তৃপক্ষের নজরে পড়ে। ছাত্রী এবং তাঁর পরিবারের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন জিম। ছাত্রীদের সঙ্গে এমন ব্যবহার করার কারণে জিমকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।