লোহার চাটুতে গরম তেলে তরকারি নাড়ছিল একজোড়া অপরিণত হাত। অন্য দু'হাত তার থেকেও ছোট। নরম তুলতুলে ভাব কাটেনি এখনও। তবু গরম অ্যালুমিনিয়ামের পাত্রে নির্দ্বিধায় বয়ে আনছিল ধোঁয়া ওঠা গরম জল। হেলতে দুলতে সেই জল চলকে উঠে হাত পুড়ে যাওয়ার যোগাড়। কিন্তু থামার কোনও অবকাশ নেই। হাত দুটো যাদের, তাদের মুখে একটাই কথা, কাজ তো করতেই হবে, বাঁচতে হলে কাজ করতেই হবে।
একজনের বয়স ১৬। তার মুখে সদ্য ওঠা দাড়ির রোঁয়া। সঙ্গে একরাশ শিশুসুলভ নিষ্পাপ ভাব। অন্য জনের বয়স তার অর্ধেক। স্রেফ ৮ বছর। দুজনে সম্পর্কে দাদা ভাই। তাদের কাঁধেই আপাতত পরিবারের মুখে ভাত তোলার গুরুভার। তার জন্যই স্কুল থেকে ফিরে কাঁধের ব্যাগ ফেলেই তারা দৌড়ায় খাবারের দোকানের পসরা সাজাতে। অমৃতসরের এই দুই ভাইয়ের খাবারের দোকানের ভিডিয়ো এখন সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল।
ভিডিওয় দুই ভাইকে বলতে শোনা যায় নিজেদের কথা। দেখা যায় হাত পুড়িয়ে রান্না করতে। পাউরুটির ভিতরে তরকারি ভরা মুখরোচক জলখাবার থেকে শুরু চানা মসলা, পুরি সবজি, মোমো কি নেই তাদের দোকানে। এই সবই রাঁধে দুই ভাই। অমৃতসরের খাবারের দোকানের চত্বরে একটি ঠেলা গাড়িতে সেজে ওঠে তাদের ছোট্ট রান্না ঘর। বিকেল ৪টে থেকে ১১টা সেখানেই চলে ছোট্ট চার হাতের সঙ্গে হাতা খুন্তির যুদ্ধ। তার পর তারা বাড়ি ফেরে। পরের দিন স্কুলে যেতে হবে যে!