ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া।
ক্যামেরার সামনে সকলেই যে সুন্দর পোজ় দিয়ে ছবি তুলতে পারে তা নয়। কেউ কেউ পোজ় দিতে পারদর্শী হলেও, অনেকেই আবার ক্যামেরা থেকেই দূরে থাকতে পছন্দ করেন। তবে এখন পশুরাও কিন্তু ক্যমেরার সামনে নিজেদের মেলে ধরার থেকে বিশেষ পিছিয়ে থাকে না। অন্তত চিনের গুয়াং শহরের কিয়াংলিং মাউন্টেন পার্ক চিড়িয়াখানার তিব্বতীয় ম্যাকাকা প্রজাতির বাঁদরের ক্যামেরাপ্রীতি দেখলে সেটাই মনে হবে। ক্যামেরা দেখলেই পোজ় দিয়ে ছবি তোলার জন্য তৈরি থাকে বছর দশের শিয়াও লাও ফেই। পোজ়ের রকমফেরও বদলাতে থাকে। সম্প্রতি সে রকমই একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, চিড়িয়াখানায় কাচের ঘরের ভিতর হেঁটে বেড়াচ্ছে বাঁদরটি। তবে ক্যামেরায় চোখ পড়তেই সে পোজ় নিয়ে তৈরি। এই বিষয়ে তাকে কোনও বিশেষ প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়নি বলে দাবি চিড়িয়াখানার আধিকারিকদের। কখনও পাউট করে দেখাচ্ছে, কখনও আবার ভুরু নাচাচ্ছে। থেকে থেকে চোখও মারছে। মাঝে মাঝে আবার পিছন ঘুরে লেজ নাচিয়েও দেখাচ্ছে সে। কায়দাবাজি দেখিয়ে হাঁটতে হাঁটতে চিড়িয়াখানার দর্শকদের দিকে তাকিয়ে ভেংচি কাটতে দেখা গিয়েছে তাকে। মাঝেমধ্যে আবার কাচের সামনে এসে হাত তুলে ফোন দেখার অঙ্গভঙ্গিও করেছে। চিনের কিয়াংলিং মাউন্টেন পার্ক চিড়িয়াখানার আকর্ষণ হয়ে উঠেছে বছর দশের এই ম্যাকাকা প্রজাতির বাঁদর। ২০১৬ সাল থেকে সে এই চিডিয়াখানায় থাকলেও, গত দু-তিন বছরে তার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। চিনের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, তার এই জনপ্রিয়তার কারণেই সেই চিড়িয়াখানায় দর্শকদের সংখ্যা আগের তুলনায় কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেকেই আবার ফেইয়ের জন্য সঙ্গী আনার দরবার করেছেন।
‘মাদারসিপএসজি’ নামক ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে এই ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যামের পাতায় পোস্ট করা হয়েছে। ভিডিয়োটিতে ইতিমধ্যেই প্রায় দু’লক্ষ ব্যবহারকারী ভালবাসা এঁকে দিয়েছেন। তবে নেটাগরিকদের অনেকেই বাঁদরটির এই বন্দিদশার নিন্দা করেছেন। কেউ বলেছেন, ‘‘বাঁদরের এই মজার অঙ্গভঙ্গি কেবলই তার উপর হওয়া নিষ্ঠুরতার ফল।’’ এক জন আবার বলেছেন, ‘‘আমি দুঃখিত যে ছোট এই কাচের ঘরে থেকে সে স্বাভাবিক ভাবে আচরণ করতে ভুলে গিয়েছে।’’