city of ants

মাটির তলায় আস্ত শহর পিঁপড়েদের! আছে ‘হাইওয়ে’, আবার খাবারের বাগিচায় পৌঁছনোর ‘সাবওয়ে’ও

পিঁপড়েদের শহর দেখে আতঙ্কে ভুগছেন নেটাগরিকদের একাংশ। তাঁদের ভয়, যে কোনও দিন তাঁদের বাড়িটি ধসে পড়বে মাটির তলায় এমন ‘শহর’-এর জন্য। আবার একাংশের ভয়, পিঁপড়েরা ক’দিন পরে তাঁদের বাড়ির দখলও নিতে পারে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০২৩ ২১:৪১
Share:

পিঁপড়েদের শহররের এক ঝলক। ছবি : টুইটার।

পিঁপড়েরা কোথায় থাকে? তাদের ঘরবাড়ি কি মানুষেরই মতো, না কি আলাদা? পিঁপড়েরাও মানুষের মতোই জোটবদ্ধ প্রাণী। অবশ্য নিন্দকেরা বলেন, মানুষের থেকেও অনেক বেশি বেঁধে বেঁধে থাকতে জানে পিঁপড়েরা। এক বিজ্ঞানী সেই পিঁপড়েদেরই ঘর-বাড়ি-পাড়া খুঁজে বার করলেন মাটির তলা থেকে!

Advertisement

টুইটারে এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। তবে তাতে যা দেখা গিয়েছে, তাতে আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেছেন নেটাগরিকেদের একাংশ। কারণ পিঁপড়েদের বাড়ি মাটি খুঁড়ে বার করতে গিয়ে একটা পুরোদস্তুর শহরই যেন খুঁজে বার করে ফেলেছেন ওই বিজ্ঞানী।

সেই শহরে যেমন ‘হাইওয়ে’ রয়েছে, তেমনই রয়েছে ‘সাবওয়ে’, গলিপথ, সর্পিল পথও। সেই সব রাস্তার অধিকাংশই গিয়ে উঠেছে পিঁপড়েদের ‘কর্মক্ষেত্রে’। অর্থাৎ খাবার সংগ্রহের জায়গায়। কখনও কোনও আবর্জনার পাহাড়ে, কখনও বা চাষের ক্ষেতে। সেই সব রাস্তা জালের মতো ছড়িয়ে রয়েছে মাটির ভিতরে, যেমন বড় শহরে থাকে। তবে রাস্তার পাশাপাশি রয়েছে থাকার জায়গা কিংবা খাবার মজুতের গুদামঘরও। মূল রাস্তার দু’পাশে কিছু দূর অন্তরই রয়েছে ছোট-বড় ডিম্বাকৃতি বা গোলাকার প্রকোষ্ঠ। যা দেখে ভিডিয়োর নেপথ্য কণ্ঠস্বরকে বলতে শোনা যায়, এগুলোই হয়তো পিঁপড়েদের বিশ্রামঘর।

Advertisement

কয়েক মিনিট দীর্ঘ ওই ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়েছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পিঁপড়েদের বাসা থাকতে পারে এমন একটি জায়গাকে তারা বেছে নিয়েছিলেন পরীক্ষা করার জন্য। তার পর তার মধ্যে প্রা ১০ পাউন্ড তরল সিমেন্ট তিন দিন ধরে প্রবেশ করিয়ে সেটি জমাট বাঁধা পর্যন্ত অপেক্ষা করেন তাঁরা। মাটির তলায় যত ফোঁপরা অংশ ছিল সেগুলি সিমেন্টে ভরাট হয়ে যায়। এর পরের কাজ ছিল সহজ। ঝুরঝুরে মাটির আবরণ কংক্রিট থেকে সরিয়ে দেওয়া। সেই কাজ সম্পূর্ণ করতেই বেরিয়ে আসে পিঁপড়েদের শহর।

ভিডিয়োটি দেখে এক নেটাগরিক লিখেছেন, এই ভিডিয়ো দেখার পর থেকে ভয়ে ঘুম উড়েছে তাঁর। কারণ, তাঁর কেবলই মনে হচ্ছে, যে কোনও দিন তাঁদের বাড়িটি ধসে পড়বে মাটির তলায় এমন ‘শহর’-এর জন্য। আবার নেটাগরিকদের একাংশ বলেছে, এর পর পিঁপড়েরা তাঁদের বাড়ির দখলও নিতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement