—প্রতীকী ছবি।
প্রেমিকার সঙ্গে শরীরচর্চা করবেন বলে একই শরীরচর্চাকেন্দ্রে ভর্তি হয়েছিলেন তরুণ। বেশ কয়েক দিন একসঙ্গে শরীরচর্চা করার পর যুগলের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল অন্য এক তরুণের। সেই তরুণও একই জিমে শরীরচর্চা করেন। কিন্তু যুগলের সম্পর্কে নাকি তৃতীয় ব্যক্তি হয়ে প্রবেশ করেন তিনি।
তরুণের দাবি, তাঁর প্রেমিকা এখন প্রাক্তন। বর্তমানে নাকি ওই তৃতীয় ব্যক্তির সঙ্গেই সম্পর্কে রয়েছেন তরুণী। মনের জ্বালা মেটাতে তাই গুগ্ল ‘রিভিউ’-এর পথ বেছে নিয়েছেন তিনি। ‘ওয়ান স্টার’ দিয়ে জিমের জঘন্যতম রিভিউ লিখেছেন তরুণ। কিন্তু তার নেপথ্যকারণ হিসাবে সম্পর্কে ভাঙনকে দায়ী করেছেন। ঘটনাটি পুণের কাল্ট কল্যাণী নগর এলাকার।
‘সোহম’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলের পাতায় একটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে। ছবিটি দেখে বোঝা যায় যে, তা গুগ্ল থেকে নেওয়া একটি শরীরচর্চাকেন্দ্রের ‘রিভিউ’ বিভাগ। এই বিভাগে নেটব্যবহারকারীরা তাঁদের ইচ্ছা মতো তারা চিহ্ন অথবা ‘স্টার’ দিয়ে ভাল-মন্দ রিভিউ লেখেন।
জিমটি কেমন, সেখানে কী কী সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায় তা বিস্তারে লিখতেও পারেন নেটব্যবহারকারীরা। সমাজমাধ্যমে সেই জিমের একটি রিভিউয়ের স্ক্রিনশট পোস্ট করেছেন সোহম। তিনি ছবিটি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘‘আমি শুধু খোঁজ নিচ্ছিলাম এলাকার কাছে কোনও ভাল জিম রয়েছে কি না। তার পর এই রিভিউটা চোখে পড়ল।’’
রিভিউয়ে লেখা রয়েছে, ‘‘আমি আমার প্রেমিকা শ্রুতির সঙ্গে কয়েক মাস আগে জিমে ভর্তি হয়েছিলাম। সেখানে অভিষেক নামে এক জনের সঙ্গে আলাপ হয় দু’জনের। প্রথম প্রথম আমি ভেবেছিলাম অভিষেক আর শ্রুতির মধ্যে শুধুমাত্র বন্ধুত্ব রয়েছে। আমি অভিষেককে আমার প্রোটিন শেকও খেতে দিয়েছিলাম। কিন্তু ও তো আমার প্রেমিকাকেই ছিনিয়ে নিয়ে চলে গেল। এখন আমি একা একা শরীরচর্চা করি। ওরা দু’জনে একসঙ্গে থাকে। আমি একা হয়ে গিয়েছি। জিমটি দেখতে ভাল। লোকজনও খুব ভাল। কিন্তু আমি ওয়ান স্টার দিলাম, কারণ শ্রুতি আমায় সেখানে ভর্তি হওয়ার পর ঠকিয়েছে।’’
ছবিটি দেখে এক নেটাগরিক বলেছেন, ‘‘আপনার ওখানে গিয়ে সম্পর্ক ভাঙল। তা হলে ওই জিমের সকলকে বলুন ব্রেক আপ পার্টি দিতে।’’ আবার এক জন মন্তব্য করেছেন, ‘‘এ ভাবে জিমে অপরিচিত কাউকে প্রোটিন শেক দিতে নেই।’’