ছবি: সংগৃহীত।
বাইরে কনকনে ঠান্ডা। সেই ঠান্ডার মধ্যেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন কয়েক জন যাত্রী। স্টেশনের ভিতর বসার জায়গা রয়েছে ঠিকই। কিন্তু কাচের সেই ঘরে বসে রয়েছেন তিন যুবক। মোবাইল ফোনে প্রচণ্ড জোরে পঞ্জাবি গান শুনছেন তাঁরা। শত অনুরোধেও তা কমাচ্ছিলেন না তাঁরা। বিরক্ত হয়ে ঘরের বাইরেই দাঁড়িয়ে রইলেন অন্য যাত্রীরা। সমাজমাধ্যমে এমনই একটি ভিডিয়ো ঘোরাফেরা করছে (যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)।
‘আর/ইন্ডিয়া’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে রেডিটের পাতায় একটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, কাচের ঘরে বসে রয়েছেন তিন জন। ছবিটি পোস্ট করে দাবি করা হয়েছে, জার্মানির ডাসেলডর্ফ স্টেশনের দৃশ্য এটি। ঘড়িতে তখন সাড়ে ৫টা। বাইরে প্রচণ্ড ঠান্ডা। সেই ঠান্ডার মধ্যেই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাঁপছেন ১০ থেকে ১৫ জন। তবুও কাচের ঘরে তাঁরা প্রবেশ করছেন না। কারণ, ঘরের ভিতর রয়েছেন তিন যুবক। মোবাইল ফোনে পঞ্জাবি গান জোরে বাজিয়ে শুনছেন তাঁরা। গানের আওয়াজে অন্যদের ঘরে টেকা দায় হয়ে পড়েছে। আওয়াজ কম করার অনুরোধ করা হলেও তোয়াক্কা করেননি ওই তিন জন। বাধ্য হয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যান বাকিরা।
ছবিটি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই নেটব্যবহারকারীদের একাংশ তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এক নেটাগরিক বলেছেন, ‘‘অনুরোধ করা উচিতই হয়নি। সরাসরি গান বন্ধ করতে বলা উচিত ছিল। কথা না শুনলে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে হত।’’