প্রাপ্য সময় এবং গুরুত্ব না পেয়ে ক্ষোভ বাড়ছিল স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের। প্রতীকী ছবি।
বিয়ের ১৫ দিনের মধ্যেই নববধূকে নিয়ে শুরু হয়েছিল অশান্তি। দিনরাত ফোনে মুখ গুঁজে বসে থাকেন তিনি। প্রাপ্য সময় এবং গুরুত্ব না পেয়ে তাই ক্ষোভ বাড়ছিল স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের। তা থেকেই সমস্যার শুরু।
বিহারের ঘটনা। যাঁকে নিয়ে গণ্ডগোল, সেই সদ্যবিবাহিতা তরুণীর নাম সাবা খাতুন। সাবা পুলিশকে জনিয়েছেন, তিনি তাঁর স্বামীর সঙ্গে থাকতে চান না। কারণ, তিনি এবং তাঁর পরিবারের সদস্যেরা তাঁকে সমাজমাধ্যমে সময় কাটাতে দিতে চান না। এমনকি, তাঁর কাছ থেকে তাঁর সাধের ফোনটিও কেড়ে নিয়েছিলেন শ্বশুরবাড়ির সদস্যেরা।
অন্য দিকে, সাবার শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বক্তব্য, ফোন নিয়ে অশান্তি বাড়িয়েছেন সাবা নিজেই। তিনিই গোটা ঘটনাটি নিজের বাড়িতে ফোন করে জানান। খবর পেয়ে তাঁর মা, বাবা এবং ভাই চলে আসেন। তার পরে দুই পরিবারের মধ্যে বচসা বাধে।
সাবার পরিবার অবশ্য দাবি করেছে, তাদের মেয়ের কাছ থেকে ফোন কেড়ে নেওয়ার পাশাপাশি তাঁকে নিজের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেননি শ্বশুরবাড়ির সদস্যেরা। তাঁদের বিরুদ্ধে সাবার উপর বলপ্রয়োগের অভিযোগ করেন তাঁরা।
পুলিশ জানিয়েছে, খবর পেয়ে তারা যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছন তখন দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল অশান্তি চলছে। অশান্তি থামাতেই সাবার পরিবারের সবাইকে নিয়ে থানায় চলে আসে তারা। সেখানেই সাবা জানান, তিনি তাঁর স্বামীর সঙ্গে থাকতে চান না। বাবা-মায়ের সঙ্গে নিজের বাড়িতে ফিরে যেতে চান।
পুলিশ সূত্রে খবর, আপাতত সাবা তাঁর পরিবারের সঙ্গে তাঁর বাবা-মায়ের বাড়িতে ফিরে গিয়েছেন। তবে দু’পক্ষেরই অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।