Viral

তাজ হোটেলে খেয়ে থরে থরে খুচরো দিয়ে পুরো বিল মেটালেন যুবক! কী বললেন ম্যানেজার?

ভিডিয়োটি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন সিদ্ধার্থ নামে এক যুবক। সিডিয়াসলি নামে একটি অ্যাকাউন্টে ওই ভিডিয়ো শেয়ার করে সিদ্ধার্থ লিখেছেন, ‘‘আমি তাজ হোটেলে কয়েন দিয়ে বিল মিটিয়েছি।’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২২:৩২
Share:

মুম্বইয়ের এক বিলাসবহুল হোটেলের রেস্তরাঁয় খুচরো কয়েনে বিল মেটালেন এক যুবক। প্রতীকী ছবি।

টেবিলের উপর রাখা কয়েনের স্তম্ভ গুলো দেখে চোখদু’টি বিস্ফারিত হল। তার পর তাঁর চাহনিতে স্পষ্ট ফুটে উঠল ভরপুর অবিশ্বাস। মুম্বইয়ের এক বিলাসবহুল হোটেলের কেতাদুরস্ত রেস্তরাঁর দৃশ্য। খাবারের টেবিলে বিল নিতে আসা কর্মীকে দেখে অবশ্য মনে হচ্ছিল তিনি মেরিন ড্রাইভের কোনও সস্তা মুখরোচক খাবারের ঠেলাগাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। সমাজের উচ্চবর্গীয়দের যাতায়াত যেখানে, কেতাই যেখানে শেষ কথা, সেখানে কেউ বিল মেটাতে এমন খুচরো পয়সার পাহাড় উপুড় করতে পারে ভাবতেই পারছিলেন না তিনি!

Advertisement

কিছু ক্ষণ স্থায়ী হল পরিস্থিতি। যিনি খাবার কিনে বিল মেটাচ্ছিলেন তাঁর হাবভাবে কোনও পরিবর্তন নেই দেখে শেষে হাল ছাড়লেন ওই হোটেল কর্মী। মুহূর্তে সামলে নিলেন। এক একে তুলে নিলেন কয়েনের ছোট বড় মাঝারি ‘থাম’। তার পর এক চিলতে হেসে বললেন, ‘‘আমাকে এগুলো একটু গুনতে হবে।’’ তার পর এগিয়ে গেলেন টেবিল ছেড়ে। গোটা ঘটনাটিরই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একটি ভিডিয়ো রেকর্ডিং প্রকাশ্যে এসেছে। যা ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে। তবে ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।

ভিডিয়োটি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন সিদ্ধার্থ নামে এক যুবক। সিডিয়াসলি নামে একটি অ্যাকাউন্টে ওই ভিডিয়ো শেয়ার করে সিদ্ধার্থ লিখেছেন, ‘‘আমি তাজ হোটেলে কয়েন দিয়ে বিল মিটিয়েছি।’’

Advertisement

ভিডিয়োয় নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে সিদ্ধার্থ লিখেছেন, আমি পরীক্ষা করে দেখতে গিয়েছিলাম সত্যি এটা করা যায় কি না। আর আমার অদ্ভুত অভিজ্ঞতা হল। তাজ হোটেলের রেস্তরাঁয় তাঁকে ও ভাবে টাকা মেটাতে দেখে আশপাশের টেবিলে বসা অতিথিরা ফিসফিস করছিলেন বলেও জানিয়েছেন যুবক। তবে শেষ পর্যন্ত খুচরো পয়সায় বিল দিতে সফলই হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সিদ্ধার্থ।

শেষে তিনি লিখেছেন, লেনদেনটাই আসল। তবে মাঝে মাঝে বাইরের নিয়ম নীতি আমাদের এতটাই জড়ভরত বানিয়ে দেয় যে নিজেদের স্বাভাবিক যাপনেও আমরা লজ্জা পাই। সেটা কখনওই কাম্য নয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement