Viral Video

কার বাড়িতে রয়েছেন প্রাক্তন প্রেমিকা? তরুণীর উপর নজরদারি চালাতে খাবার ডেলিভারি অ্যাপের তথ্য চুরি

বান্ধবীর প্রাক্তন প্রেমিক খাবার ডেলিভারি সংস্থায় কাজ করেন। সেখানকার তথ্য ব্যবহার করে প্রাক্তন প্রেমিকার উপর নজরদারি করছেন তরুণ। রুপালের বান্ধবী কোথায় রয়েছেন, কোন ঠিকানা থেকে কী খাবার অর্ডার করছেন— সবকিছুই নজর রাখেন ওই তরুণ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২৪ ১৫:০৯
Share:

—প্রতীকী ছবি।

অনলাইন মাধ্যমে তরুণীর সঙ্গে আলাপ হয় তরুণের। গোড়ার দিকে সম্পর্ক ভাল থাকলেও তা বেশি দিন টেকেনি। কিছু দিনের মধ্যেই সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়। কিন্তু প্রাক্তন প্রেমিকাকে কিছুতেই ভুলতে পারছেন না তরুণ। পুরনো প্রেমিকা কোথায় গিয়েছেন, তাঁর শরীর খারাপ হল কি না— সে সব খবর পেতে রীতিমতো আড়ি পাতা শুরু করেছেন তিনি। সমাজমাধ্যমে এই ঘটনার উল্লেখ করেন ওই তরুণীর এক বান্ধবী।

Advertisement

রুপাল মধুপ নামে এক তরুণী লিঙ্কডইনের পাতায় পোস্ট করে তাঁর বান্ধবীর পুরনো প্রেমের প্রসঙ্গে লেখেন। বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা রুপাল। তাঁর বান্ধবী এবং বান্ধবীর প্রাক্তন প্রেমিকও বেঙ্গালুরুতে থাকেন। রুপাল জানান, অনলাইনে তাঁর বান্ধবীর সঙ্গে এক তরুণের আলাপ হয়েছিল। দু’জনে সম্পর্কে জড়ালেও তা বেশি দিন টেকেনি। কিন্তু প্রাক্তন প্রেমিকাকে ভুলতে পারেননি ওই তরুণ।

রুপাল জানান, তাঁর বান্ধবীর প্রাক্তন প্রেমিক খাবার ডেলিভারি সংস্থায় কাজ করেন। সেখানকার তথ্য ব্যবহার করে প্রাক্তন প্রেমিকার উপর নজরদারি করছেন তরুণ। রুপালের বান্ধবী কোথায় রয়েছেন, কোন ঠিকানা থেকে কী খাবার অর্ডার করছেন— সবকিছুই নাকি নজরে রেখেছেন ওই তরুণ। সেগুলো দেখে প্রাক্তন প্রেমিকাকে মেসেজও পাঠান তরুণ।

Advertisement

তরুণী চকোলেট অর্ডার করলে তিনি প্রশ্ন করেন, ‘‘হঠাৎ এত রাতে চকোলেট অর্ডার করেছ কেন? তোমার কি শরীর খারাপ?’’ আবার নিজের বাড়ির ঠিকানা থেকে খাবার অর্ডার না করা হলেও প্রাক্তন প্রেমিকাকে বিরক্ত করেন তিনি। রুপাল জানান, এক বার চেন্নাইয়ের একটি ঠিকানা থেকে খাবার অর্ডার করেছিলেন তাঁর বান্ধবী। তা দেখে নাকি রুপালের বান্ধবীকে ওই তরুণ বার বার মেসেজ করছিলেন। প্রশ্ন করছিলেন, ‘‘তুমি বাড়িতে নেই কেন? চেন্নাই কেন গিয়েছ? কার সঙ্গে রয়েছ ওখানে?’’

রুপাল লেখেন, ‘‘আমার বান্ধবী প্রথমে কিছুই বুঝতে পারেনি। ছেলেটি কী ভাবে সব জেনে ফেলছে, তা ঠাহর করতে পারত না। পরে ও দু’য়ে দু’য়ে চার করে। এ ভাবে তথ্য ঘেঁটে এক জনের উপর নজরদারি করা অন্যায়।’’ ঘটনাটি জানতে পেরে এক নেটাগরিক বলেছেন, ‘‘শুনে মনে হতে পারে যে এটি বানানো গল্প। কিন্তু এমন হতেও পারে। অস্বাভাবিক কিছু নয়। আমার ভাবতেই ভয় করছে।’’ আবার অন্য এক নেটব্যবহারকারীর মন্তব্য, ‘‘এই বিষয়টি কিন্তু গুরুতর অপরাধ। আপনার বান্ধবীর আইনি সাহায্য নেওয়া প্রয়োজন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement