পুলিশ জানিয়েছে, সত্যি জানার জন্য চিঠির প্রেরক যে চেষ্টা করেছে, তা তারিফযোগ্য। নিজস্ব চিত্র।
প্যাকেটে মোড়া একখানি আধখাওয়া কুকি আর একটা ছোট্ট কামড় বসানো গাজর এসে পৌঁছেছিল থানায়। সঙ্গে একটা চিঠিও। তাতে গোটা গোটা অক্ষরে লেখা একটি অনুরোধ, ওই গাজর আর কুকির ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখতে হবে ওগুলো সান্টা ক্লজের খাওয়া কি না!
খুন-জখম-রাহাজানির তদন্তে ডুবে থাকা পুলিশের গোয়েন্দা দফতর প্রথমে খানিক অবাকই হয়েছিল চিঠিটা পেয়ে। তবে চিঠির বয়ান দেখে শেষ মেশ তারা অনুরোধ রাখারই সিদ্ধান্ত নেয়। চিঠিতে লেখা ছিল, ‘‘আমি সান্টা আর তার হরিনের জন্য এই কুকি আর গাজর রেখেছিলাম ক্রিসমাসের আগের সন্ধ্যায়।’’ এর পর ওই আধখাওয়া খাবারদু’টির কথা জানিয়ে প্রেরকের সনির্বন্ধ অনুরোধ, ‘‘ভাবছিলাম আপনারা কি ওই নমুনা দু’টি পরীক্ষা করে দেখবেন, সান্টা সত্যিই আছে কি না!!’’
ঘটনাটি ব্রিটেনের। কাম্বারল্যান্ড থানায় এসেছিল ওই চিঠি। গত ২০ জানুয়ারি কাম্বারল্যান্ডের মেয়র একটি ফেসবুক পোস্ট করে এই চিঠির আনুষ্ঠানিক জবাব দিয়েছেন। তাতে লেখা রয়েছে চিঠি পাওয়ার ঘটনাটি। রয়েছে পুলিশ বিভাগের তরফে দেওয়া জবাবের সরকারি বিবৃতিও। কাম্বারল্যান্ডের মেয়র জানিয়েছেন, এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তারা ডিএনএ পরীক্ষা সংক্রান্ত অনুরোধও রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সঙ্গে চিঠির প্রেরকের ভূয়সী প্রশংসা করে পুলিশ জানিয়েছে, সত্যি জানার জন্য চিঠির প্রেরক যে চেষ্টা করেছে, তা তারিফযোগ্য। তার মধ্যে যে একটা সত্য অনুসন্ধানী মন রয়েছে, তারই প্রমাণ এই চিঠি।
তবে এখানেই শেষ হয়নি মেয়রের বক্তব্য। তিনি জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহেই এই তদন্তের ফলাফল হাতে আসবে বলে আশা করছেন তাঁরা। খুব শীঘ্রই সেই ফল জানানোও হবে। তাহলেই জানা যাবে প্রেরকের এলাকায় সত্যিই হরিনে টানা স্লেজগাড়িতে চেপে সান্টা ক্লজ এসেছিল কি না।