ড্রাইফ্রটসের হার। ছবি ইস্টাগ্রাম।
আফগানি গহনার কদর বেড়েছিল কিছুদিন আগে। সেলিব্রিটি থেকে শুরু করে ফ্যাশন দুরস্ত আম জনতা সকলেই ছুটছিলেন ধূসর রুপোলি রঙের ধাতব মিনাকারী অলঙ্কারের দিকে। কিন্তু এই 'আফগানি' হার আরও বেশি খাঁটি। পরিবেশ বান্ধবও। কাজু, কিশমিশ, পেস্তা, এলাচ, কাঠ বাদাম, আখরোটে এর মত শুকনো ফল বা মেওয়া দিয়ে তৈরি। যে মেওয়া এক কালে সুদূর আফগানিস্তান থেকে ঝোলায় ভরে ভারতে নিয়ে আসতেন কাবুলিওয়ালারা।
সম্প্রতি এমনই একটি হার পরে বিয়ের সাজের ছবি তুলেছিলেন এক মডেল। মেওয়া দিয়ে তৈরি সিতাহার, দুল, বালা, বাজুবন্ধ, চুলের কাঁটা পরা ওই মডেলের ছবি ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে ইন্টারনেটে। তবে ভাল লেগেছে বলে নয়। যে দেশে বহু মানুষ এখনও দু বেলা পেট ভরে খেতে পান না সেখানে দামি মেওয়া গহনা বানিয়ে নষ্ট করার সমালোচনা করেই পোস্টটি বহুবার শেয়ার করা হয়েছে।
নেটাগরিকেরা মেওয়ার গহনা কে স্রেফ শিল্প কর্ম হিসেবে দেখতে রাজি নন মোটেই। তাঁরা বরং বলেছেন, যতই এই গহনাকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য বলা হোক আঠা, রাসায়নিক এবং রং লাগানোর পর ওই শুকনো ফল খাওয়া সম্ভব নয়। তা ছাড়া
শরীরে ঘামের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ লেগে থাকার পরও ওই ফল পুনরায় ব্যবহার যোগ্য থাকবে কি না ত নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।