একটি ফল বা বলা ভাল ফলের ছবিতেই জীবন বদলে যাওয়ার আশা করছেন দুনিয়ার একাকীরা। প্রতীকী ছবি।
রূপকথার গল্পে শোনা যেত এমন! ইচ্ছে পূরণের জন্য মন্ত্রপূত ফল দিতেন সাধু সন্ন্যাসীরা। সেই ফল খেলেই সুফল মিলত। এ কালেও নাকি এমন হচ্ছে! একটি ফল বা বলা ভাল ফলের ছবিতেই জীবন বদলে যাওয়ার আশা করছেন দুনিয়ার একাকীরা।
পৃথিবী জুড়ে শুরু হয়েছে এক অদ্ভুত ট্রেন্ড। সমাজমাধ্যমের জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম ইনস্টাগ্রামের পরিচয়ে অনেকেই ন্যাসপাতির ইমজি ব্যবহার করছেন। জানা যাচ্ছে এতেই নাকি একাকিত্ব ঘুচতে চলেছে! সঙ্গী খুঁজতে ডেটিং অ্যাপের দ্বারস্থ না হয়েই মিলতে চলেছে কাঙ্ক্ষিত ফল।
কী ভাবে হবে মিলন হবে দোঁহে?
বলা হচ্ছে ওই ন্যাসপাতির ছবিই নাকি একাদের একাকিত্বের পরিচয়পত্র। প্রেমে পড়ার সবুজ সিগন্যাল। সেই সঙ্কেত দেখে যাঁদের বোঝা দরকার তাঁরা ঠিক বুঝে নেবেন। তাতেই সম্ভব হবে চার চক্ষুর মিলন।
কিন্তু হঠাৎ ন্যাসপাতি কেন?
আসলে পিয়ার নামে একটি সংস্থা প্রথম এই ধরনের একটি প্রচার শুরু করেছিল। একাদের জন্য এক বিশেষ ধরনের আংটি তৈরি করেছিল তারা। সবুজ রঙের সেই আংটি পরলেই বোঝা যাবে যিনি পরেছেন তিনি একা থেকে দোকা হতে রাজি। লজ্জার মাথা খেয়ে আলাপ করতে যেতে হবে না। আবার প্রত্যাখ্যানের সম্ভাবনাও কমবে। সেই আংটির জনপ্রিয়তা বাড়তেই পিয়ারের নাম ছড়ায়। তারপর পিয়ার নামটিকেই একাকিত্বের পরিচয় বানিয়ে নেন মানুষ। ন্যাসপাতি ফলের ইংরেজি প্রতিশব্দ হল পিয়ার। তার থেকেই তৈরি হয়েছে একাকিত্বের নতুন পরিচয়পত্র।