Gujarat

বয়স লুকিয়ে বিয়ে! সোনোগ্রাফি রিপোর্টে স্ত্রীর ‘আসল’ বয়স ধরা পড়তেই প্রতারণার মামলা

বিয়ের তারিখ যখন প্রায় দোরগোড়ায়, তখন জন্ম শংসাপত্রের একটি ফোটোকপিকে সারখেজকে দেন সুচিন্তা। সেই শংসাপত্রে সুচিন্তার জন্মের তারিখ ১৯৯১ সালের মে মাসে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২৪ ১৫:৩৭
Share:

—প্রতীকী ছবি।

কথায় রয়েছে, মহিলাদের আসল বয়স নাকি জানতে নেই। তবে স্বামীর কাছ থেকেই যে তরুণী তাঁর আসল বয়স লুকোবেন তা কল্পনাও করতে পারেননি তরুণ। বিয়ের এক বছর পর স্বাস্থ্যপরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে গিয়ে স্ত্রীর আসল বয়স জানতে পারেন তিনি। বয়সে আট বছরের বড় তাঁর স্ত্রী, তা জেনেই রেগে আগুন হয়ে যান তরুণ। স্ত্রী এবং তাঁর শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণ।

Advertisement

তরুণের নাম সারখেজ। গুজরাতের বাসিন্দা তিনি। গত বছর মে মাসে তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় সুচিন্তা (নাম অপরিবর্তিত) নামে এক তরুণীর। একে অপরকে পছন্দ হয় তাঁদের। বিয়ের কথাবার্তাও পাকা হয়ে যায়। কিন্তু বিয়ের আগে সুচিন্তার বয়স এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্র চেয়েছিলেন সারখেজ। কিন্তু নানা কারণে তা এড়িয়ে যাচ্ছিল সুচিন্তার পরিবার। বিয়ের তারিখ যখন প্রায় দোরগোড়ায়, তখন জন্ম শংসাপত্রের একটি ফোটোকপি সারখেজকে দেন সুচিন্তা। সেই শংসাপত্রে সুচিন্তার জন্মের তারিখ ১৯৯১ সালের মে মাসে।

বয়সে সুচিন্তার চেয়ে ১৮ মাসের বড় হওয়ায় নিশ্চিন্ত হন সারখেজ। বিয়ের আগের দিন সকালে সুচিন্তা তাঁর স্কুলের শংসাপত্র এবং পাসপোর্টের ফোটোকপি সারখেজের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। ২০২৩ সালের জুন মাসে পালনপুর গ্রামে বিয়ে করেন সারখেজ এবং সুচিন্তা। বিয়ের পর ব্যাঙ্কের কাজ এবং বিয়ের শংসাপত্রের কারণে সুচিন্তার কাছ থেকে আসল শংসাপত্রগুলি চেয়েছিলেন সারখেজ। কিন্তু তাতে কিছুতেই রাজি হননি সুচিন্তা।

Advertisement

বিয়ের পর সন্তানলাভের জন্য অনেক চেষ্টা করছিলেন সুচিন্তা এবং সারখেজ। এমনকি স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানোরও সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। পুলিশের দাবি, সুচিন্তা তাঁর বোনকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন। কিন্তু স্বাস্থ্যপরীক্ষার কোনও রিপোর্ট সারখেজকে দেখাতে চাননি সুচিন্তা। পরে সুচিন্তার সঙ্গে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে গিয়েছিলেন সারখেজ। সেখানে সুচিন্তার স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো হলে সেই রিপোর্ট দেখে চমকে যান তরুণ।

সোনোগ্রাফি রিপোর্টে স্পষ্ট লেখা রয়েছে, সুচিন্তার বয়স ৪০ বছর। এমনকি চিকিৎসকও জানান, সুচিন্তার বয়স বেশি হওয়ার কারণে সন্তানধারণে সমস্যা হচ্ছে। বয়স গোপন করার ‘অপরাধে’ সুচিন্তা এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছেন সারখেজ। জিজ্ঞাসাবাদের সময় প্রমাণ দেখিয়ে সুচিন্তার বয়স গোপন করার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন তাঁরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement