ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
জলের মধ্যে পা ডুবিয়ে দাঁড়িয়েছিল একটি বাচ্চা জলহস্তী। তাকে দেখতে খাঁচার বাইরে ভিড় জমিয়েছিলেন পর্যটকেরা। কিন্তু তাতেই হল বিপদ। খাঁচার সামনে দাঁড়ানোর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ‘মলবৃষ্টি’তে আপাদমস্তক ভিজে গেলেন তাঁরা। সমাজমাধ্যমে এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)।
‘মাস্টশেয়ারনিউজ়’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে ইনস্টাগ্রামের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিয়ো থেকে জানা গিয়েছে, ১৩ অক্টোবর এই ঘটনাটি ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া চিড়িয়াখানায় ঘটেছে। সেই চিড়িয়াখানায় রয়েছে মু দেং নামে এক বাচ্চা জলহস্তী। তাকে দেখার জন্যই খাঁচার বাইরে ভিড় জমিয়েছিলেন পর্যটকেরা। খাঁচাটি কোনও বেড়া দিয়ে ঘেরা ছিল না। খাঁচার ভিতর জলের মধ্যে পা ডুবিয়ে রোদ পোহাচ্ছিল জলহস্তীটি। হঠাৎ মনের আনন্দে লেজ নাড়তে দেখা গেল তাকে। সঙ্গে সঙ্গে শোনা গেল বীভৎস শব্দ।
সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা পর্যটকদের গায়ের উপর পড়তে শুরু করল আঠালো তরলের মতো পদার্থ। ঘটনাটি বুঝতে বিন্দুমাত্র দেরি হয়নি পর্যটকদের। একসঙ্গে চিৎকার করে উঠলেন সকলে। আসলে, লেজ নাড়িয়ে মলত্যাগ করছিল জলহস্তীটি। খাঁচার বাইরে কোনও কাচের দেওয়াল অথবা বেড়া না থাকায় তা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে গিয়ে পড়ে পর্যটকদের গায়ে। সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে দূরে সরে যান পর্যটকেরা। কিন্তু তত ক্ষণে যা ‘অঘটন’ হওয়ার হয়ে গিয়েছে।
ভিডিয়োটি দেখার পর এক নেটাগরিক বলেছেন, ‘‘আহা রে! জলহস্তীটিকে শান্ত মনে মলত্যাগও করতে দিলেন না কেউ।’’ আবার এক নেটব্যবহারকারী মজা করে লিখেছেন, ‘‘আওয়াজ শুনে মনে হল, স্পিড বোটের ইঞ্জিন চালু করে দিয়েছে।’’