শাড়িখানা কোমরে পেঁচিয়ে যে ভাবে রান্নাঘরে ঢোকেন ভারতীয় মহিলারা, রাঁধুনিকে সে ভাবেই দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
রাগ হওয়ার কথা নয়। বরং আর পাঁচটা সচ্ছল ভারতীয় পরিবারের রান্নাঘরের সাধারণ দৃশ্য। সেখানে একজন মহিলা রয়েছেন। রয়েছে অভেনে বসানো চায়ের প্যান। আর স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যত্ন করে খাবার বানানোর চেষ্টা। শাড়িখানা কোমরে পেঁচিয়ে যে ভাবে রান্নাঘরে ঢোকেন ভারতীয় মহিলারা, রাঁধুনিকে সে ভাবেই দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। তফাত এটুকুই যে, হাবভাব সব কিছু ভারতীয়দের মতো হলেও আসলে তিনি ভারতীয় নন।
রাঁধুনির নাম জুলি। তিনি জার্মানির মেয়ে। খাস হিটলারের দেশ থেকে এসে ভারতেই চিরতরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিয়েও করেছেন ভারতীয়কে। সেই জুলিরই চা বানানোর দৃশ্য ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে।
ভিডিয়োয় জুলিকে দেখা যাচ্ছে, গোলাপি শাড়ি আর হলুদ ব্লাউজ়ে। মাথায় টিপ আর কপালে সিঁদুরও পরেছেন জুলি। তাঁর সোনালি চুল আলগা ভাবে পড়ে রয়েছে পিঠের উপর। এক হাতে চায়ের প্যানটিকে ধরে তাতে দুধ আর চা পাতা দিয়ে জ্বাল দিচ্ছেন জুলি। ভিডিয়ো দেখে বোঝা যায়, স্বামীর জন্য চা বানাচ্ছেন তিনি। কিন্তু রান্নাঘরে ব্যস্ত জুলির মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটান তাঁর স্বামীই। চা উথলে পড়তে পড়তে কোনওমতে সামলে নেন জার্মানির ‘মেম বউ’।
জুলির স্বামীর নাম অর্জুন শর্মা। দু’বছর আগে লকডাউনের সময় স্বামী অর্জুনের সঙ্গে ভারতে এসেছিলেন তিনি। তার পর জুলি সিদ্ধান্ত নেন, তিনি ভারতেই থাকবেন। ইদানীং মাঝেমধ্যেই ইনস্টাগ্রামে তাঁর সারা দিনের ভিডিয়ো পোস্ট করেন জুলি। তবে তাঁর চা বানানোর ভিডিয়োটি লক্ষাধিক বার দেখা হয়ে গিয়েছে। তবে জুলির অনুরাগীরা তাঁর স্বামীর উপর রেগে গিয়েছেন। তাঁদের প্রশ্ন, ‘‘এত সুন্দর বৌকে চা বানাতে রান্নাঘরে পাঠিয়েছ। সোনার অঙ্গে কালি পড়বে না?’’