ছবি: এক্স থেকে নেওয়া।
রাস্তা দিয়ে ছুটে চলেছে অ্যাম্বুল্যান্স। রোগীর বাড়ি থেকে হাসপাতালের দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হাসপাতালে পৌঁছতে হবে অ্যাম্বুল্যান্সটিকে। সেই চিন্তায় অ্যাম্বুল্যান্সের পিছনে দৌড়চ্ছে একটি কুকুর। কারণ, অ্যাম্বুল্যান্সের ভিতর যে অসুস্থ ব্যক্তি রয়েছেন, তিনি আসলে ওই কুকুরটির মালিক। সমাজমাধ্যমে এই ঘটনাটি ক্যামেরাবন্দি করেছেন এক বাইক আরোহী (যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)।
ঘটনাটি কলম্বিয়ার তুনজা এলাকায় ঘটেছে। স্থানীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, কুকুরটির নাম টোনো। তার মালিক আলেজান্দ্রো হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। সঙ্গে সঙ্গে আলেজান্দ্রোর বাড়ির সামনে পৌঁছে যায় একটি অ্যাম্বুল্যান্স। আলেজান্দ্রোকে তাড়াতাড়ি গাড়িতে উঠিয়ে ফেলেন হাসপাতালের কর্মীরা। তাড়াহুড়োয় তাঁর বাড়ির দরজা বন্ধ করতে ভুলে যান কর্মীরা। সেই সুযোগে অন্দরমহল থেকে বেরিয়ে পড়ে টোনো। অ্যাম্বুল্যান্স ছোটা শুরু করলে তার পিছন পিছন দৌড়তে থাকে টোনোও।
সেই সময় একই রাস্তা দিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সের পিছনে বাইক চালিয়ে যাচ্ছিলেন এক তরুণ। তিনি লক্ষ করেন, অ্যাম্বুল্যান্সটি মাঝরাস্তায় হঠাৎ দাঁড়িয়ে পড়ে। অ্যাম্বুল্যান্সের চালক গাড়ির বাইরে বেরিয়ে পিছনের দরজাটি খুলে দেয় টোনোর জন্য। সেখানেই শুয়েছিলেন আলেজান্দ্রো। অ্যাম্বুল্যান্সের দরজা খুলতেই গাড়ির ভিতর লাফিয়ে উঠিয়ে পড়ে টোনো। তার পর আবার গাড়ি নিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেন চালক। পুরো ঘটনাটি ক্যামেরাবন্দি করেন সেই বাইক আরোহী। সমাজমাধ্যমের পাতায় সেই ভিডিয়ো দেখে নেটাগরিকদের অধিকাংশের মন ভারী হয়ে যায়। এক নেটব্যবহারকারী বলেন, ‘‘এই ভালবাসার মধ্যে এক অদ্ভুত ধরনের পবিত্রতা রয়েছে।’’