—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
চিড়িয়াখানায় কুমিরের হালচাল দেখতে যান অনেকেই। সেই খাঁচার সামনে বেশ ভিড় থাকে। তবে বন্দি কুমির যে কত বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে, তার প্রমাণ সম্প্রতি মিলেছে একটি ভাইরাল ভিডিয়ো থেকে। ওই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, কী ভাবে কুমির চিড়িয়াখানার এক মহিলা কর্মীকে খাঁচার ভিতর থেকেই আক্রমণ করেছে।
কুমিরের আক্রমণের ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, চারদিক ঘেরা খাঁচার ভিতর ছোট জলাশয়ে একটি কুমির রয়েছে। তার দেখভালের দায়িত্বে যিনি আছেন, তিনি খাঁচার ভিতরে গিয়ে তাকে খাওয়ানোর চেষ্টা করছিলেন। বাইরে দাঁড়িয়ে দর্শকেরা কুমিরের কীর্তি দেখছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছোট, বড় অনেকেই ছিলেন। হঠাৎ কুমিরটি তরুণীকে আক্রমণ করে। তার হাত কামড়ে ধরে টেনে নেয় জলের দিকে। তরুণী প্রথমে বাইরে দাঁড়িয়েই কুমিরের মুখ থেকে হাত ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু কুমিরের গায়ের জোরের সঙ্গে তিনি পেরে ওঠেননি। বরং তিনিও জলে পড়ে যান।
তরুণীর সাহায্যে এগিয়ে আসেন চিড়িয়াখানার অন্য এক কর্মী। ওই যুবক জলে নেমে কুমিরের পিঠে চড়ে বসেন। তরুণীকে বাঁচাতে খাঁচায় ঢোকেন এক দর্শকও। কুমিরের পিঠে চড়ে যুবক সর্বশক্তি দিয়ে তাকে চেপে ধরে ছিলেন। আক্রান্ত তরুণীর হাত তখনও কুমিরটির মুখের ভিতর ঢোকানো। তরুণী ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করছিলেন।
এক সময় দেখা যায়, কুমিরটি তার দাঁত হালকা করছে। কোনও রকমে হাত ছাড়িয়ে বাইরে উঠে আসেন তরুণী। কিছু ক্ষণ অপেক্ষা করে সময়মতো ওই যুবকও জল থেকে উঠে আসেন। এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
ভিডিয়োটি নিয়ে সমাজমাধ্যমে চর্চা চলছে। সাহায্যকারী যুবকের সাহসের প্রশংসা করছেন অনেকে। আবার, চিড়িয়াখানায় কর্মীদের কতটা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয়, সেই প্রসঙ্গও তুলে এনেছেন কেউ কেউ।