ছবি : টুইটার।
হাইওয়ে ধরে ছুটছিল বাইক। মালবাহী ট্রাক, চারচাকার বড় গাড়িকে একের পর এক পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল সাঁই সাঁই করে। উল্টোদিকের হাওয়ায় বাইকারোহীর সাদা জামা, সাদা ট্রাউজার পতপত করে উড়ছিল। আর বাইকে বসা সেই ঋজু দেহটাকে সামনে থেকে জড়িয়ে ধরে বসেছিলেন এক তরুণী। তাঁরও পরণে সাদা পোশাক, পায়ে স্পোর্টস শ্যু। দু’টো হাতে বাইকারোহীর গলা চেপে জড়িয়ে ধরে পা দু’টোকে তাঁর উরুর উপর দিয়ে পিছনে ছড়িয়ে দিয়েছিল মেয়েটি
এ ভাবেই ব্যস্ত হাইওয়েতে চলন্ত বাইকের উপর চলছিল দু’জনের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের আদান প্রদান। পাশের গাড়ির সওয়ারিরা সেই দৃশ্যের একটি ভিডিয়ো রেকর্ডিং করে সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করেন। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়তেই বিপত্তির শুরু।
ঘটনাটি ঘটেছিল উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে। নয়ডামুখী হাইওয়ের উপরে। রাস্তার উপরের সাইনবোর্ডে সেই দৃশ্য দেখেই জায়গাটি চিনতে পারে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। তার পর গাড়ির নম্বর মিলিয়ে সিসিটিভি ক্যামেরার রেকর্ডিংয়ের সাহায্যে ওই গাড়ি এবং তার মালিককে চিহ্নিত করে তারা। সমাজমাধ্যমে ভেসে ওঠা ওই ভিডিয়োকেই প্রমাণ হিসাবে ধরে ওই বাইকারোহীর বিরুদ্ধে গাজিয়াবাদ থানায় এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ।
এফআইআরের একটি প্রতিলিপি টুইটারে পোস্টও করেছে গাজিয়াবাদ থানার পুলিশ। তাতে দেখা যাচ্ছে রাতের হাইওয়েতে বিপজ্জনকভাবে বাইক চালানোর জন্য মোট ২১ হাজার টাকার জরিমানা করা হয়েছে বাইকের মালিককে। এফআইআরেই দেখা যাচ্ছে, বাইকের মালিকের নাম গোলামুন্ডি সলমন সিন্ধুর। তাঁর বাবার নাম সুধীর কুমার। বাইক চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই বলেই উল্লেখ করা হয়েছে এফআইআরে। পুলিশ, হেলমেট ছাড়া গাড়ি চালানো, নম্বর প্লেটের গোলমাল, বায়ুদূষণ এবং সরকারের লিখিত অনুমতি ছাড়া অনুমোদিত গতির সীমা ছাড়ানোর অভিযোগে সলমনকে জরিমানা করেছে।