Bizarre

বিয়েতে নারাজ সন্তান, মৃত্যুর আগে নাতি-নাতনির মুখ দেখতে নিজেই বাবা হলেন ষাট পেরোনো বৃদ্ধ!

নাতি-নাতনির মুখ দেখে, তাদের সঙ্গে খেলা করে শেষ জীবন কাটাতে চাইতেন। কিন্তু কিছুতেই বিয়ে করতে এবং সন্তান ধারণে রাজি ছিল না একমাত্র কন্যা। অগত্যা শখপূরণ করতে গোপনে নিজেই বাবা হলেন চিনের এক বৃদ্ধ।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:৪৩
Share:

—প্রতীকী ছবি।

নাতি-নাতনির মুখ দেখে, তাদের সঙ্গে খেলা করে শেষ জীবন কাটাতে চাইতেন। কিন্তু কিছুতেই বিয়ে করতে এবং সন্তান ধারণে রাজি ছিল না একমাত্র কন্যা। অগত্যা শখপূরণ করতে গোপনে নিজেই বাবা হলেন চিনের এক বৃদ্ধ। ষাট পেরিয়ে সারোগেসি পদ্ধতিতে বাবা হন তিনি। অবাক লাগলেও সংবাদমাধ্যম ‘সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’-এর প্রতিবেদনে তেমন খবরই উঠে এসেছে।

Advertisement

বৃদ্ধের গোপনে বাবা হওয়ার বিষয়টি সম্প্রতি প্রকাশ্যে এনেছেন তাঁরই স্ত্রী। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৫৩ বছর বয়সি গুয়ো নামের ওই মহিলা চিনের হুনান প্রদেশের ইয়াংয়ের বাসিন্দা। তিনি জানিয়েছেন, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে এক দিন কর্মক্ষেত্র থেকে বাড়ি ফিরে তিনি তাঁর বাড়িতে এক মহিলাকে বসে থাকতে দেখেন। ওই মহিলার কোলে এক শিশুও ছিল। ওই মহিলা জানান, শিশুটির বাবা গুয়োর স্বামী এবং তাঁকে শিশুর দেখভাল করার জন্য নিযুক্ত করা হয়েছে।

বিষয়টি শুনে গুয়ো প্রথমে চমকে যান। পরে স্বামীর সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, সারোগেসির মাধ্যমে শিশুটির জন্ম হয়েছে এবং তাঁর স্বামীই এর জন্য খরচ করেছেন। এর পর গুয়ো ওই সন্তান প্রতিপালনের সিদ্ধান্ত নেন।

Advertisement

গুয়ো এ-ও জানিয়েছন, তাঁদের আগে থেকেই এক কন্যাসন্তান রয়েছে। কিন্তু তাঁর ২৯ বছর বয়সি কন্যা বিয়ে করতে রাজি ছিলেন না। ভবিষ্যতে সন্তানধারণেও অনিচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। আর তাই ‘বাধ্য হয়ে’ তাঁর স্বামী সারোগেসি পদ্ধতিতে সন্তানের বাবা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement