Viral News

ক্ষতি হচ্ছে জীবনের, আসছে না ঘুমও, ‘নেশা ধরানোর’ অভিযোগে সমাজমাধ্যমগুলির বিরুদ্ধে মামলা তরুণের

২০১৫ সাল থেকে সমাজমাধ্যম ব্যবহার করা শুরু করেন তিনি। কিন্তু তিনি এতটাই নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন যে রাতের পর রাত ঘুম হত না তাঁর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০২৪ ১২:৫১
Share:

—প্রতীকী ছবি।

রাতের পর রাত চোখে ঘুম নেই। ক্ষতি হচ্ছে শরীরেরও। সব কিছুর জন্য দায়ী ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের মতো সমাজমাধ্যমগুলি। সমাজমাধ্যমের কারণেই বেশি সময় ধরে ফোন ঘাঁটছেন তরুণ। কোনও ভাবেই এই স্বভাব নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছেন না তিনি। যেন একটি চক্রের মধ্যে পড়ে গিয়েছেন, শত চেষ্টা করেও বার হতে পারছেন না। তাই সমস্ত সমাজমাধ্যমের বিরুদ্ধে মামলা করলেন তিনি। ২৪ বছর বয়সি তরুণের দাবি, ফেসবুক, টিকটক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউবের মতো সমাজমাধ্যম মানুষকে নেশাগ্রস্ত করে তোলে।

Advertisement

কানাডার মন্ট্রিয়েলের বাসিন্দা ওই তরুণ। স্থানীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ২০১৫ সাল থেকে সমাজমাধ্যম ব্যবহার করা শুরু করেন তিনি। কিন্তু তিনি এতটাই নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন যে রাতের পর রাত ঘুম হত না তাঁর। শরীরও ভেঙে পড়েছিল তাঁর। তাই সমাজমাধ্যমগুলির বিরুদ্ধে ‘নেশা ধরানো’র অভিযোগে মামলা করেন তিনি। মন্ট্রিয়েলের এক আইনবিদ এই ঘটনা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে, সমাজমাধ্যমগুলি এমন ভাবে তৈরি করা হয় যা ব্যবহারের ফলে মানবদেহে ডোপামাইন হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি পেয়ে যায়। এর ফলে দীর্ঘ ক্ষণ ফোন ঘাঁটতে থাকেন নেটব্যবহারকারীরা।

কানাডায় সাত থেকে এগারো বছর বয়সি ৫২ শতাংশ শিশু সমাজমাধ্যম ব্যবহার করে। তাদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আইনবিদ। তরুণের দাবি, তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, সারা দিনে সমাজমাধ্যম ব্যবহারের জন্য মাত্র দু’ঘণ্টা সময় ব্যয় করবেন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement