ঠিক বিয়ের সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানে শুরু হওয়ার মুহূর্তে আকাশ ঢাকল কালো মেঘে। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
বিয়ের সাতপাকের মন্ত্রেই থাকে সুখে-দুঃখে হাত না ছাড়ার শর্ত। বিয়ের পিঁড়িতে বসার আগেই সেই শর্তের প্রথম পরীক্ষায় পাস করে গেলেন এক যুগল।
ঢালাও আয়োজন করে বিয়ের দিনটাকে স্বপ্নের মতো সাজিয়েছিলেন পাত্র-পাত্রী। রাজ প্রাসাদের মতো বাড়িতে বিয়ের আসর। সেই প্রাসাদের ছাদে বারান্দায় অলিন্দে চাঁদনি রাতে সার দেওয়া নর্তকীদের নাচ। ঝলমলানো বাজি। তার মাঝে খোলা আকাশের নীচেই ঝলমলে বিয়ের আয়োজন। কিন্তু সে সবই ভেস্তে যাচ্ছিল অসময়ে আসা প্রাকৃতিক দুর্যোগে।
সব পরিকল্পনা মেনেই চলছিল কিন্তু ঠিক বিয়ের সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানে শুরু হওয়ার মুহূর্তে চাঁদ ঢাকল কালো মেঘে। গমগমে গর্জন করে ঝমঝমিয়ে নামল বৃষ্টি। কিন্তু তাতে কি বিয়ে আটকালো? উঁহু। বিয়ের যেমন পরিকল্পনা ছিল ঠিক সেই ভাবেই এগোল। অতিথিরা ছাতা মাথায় দাঁড়ালেন। কিন্তু বর কনে ওই তুমুল বৃষ্টির মধ্যে ঝুপ্পুস ভিজেই নাচ-গানে অংশ নিলেন। বাজি ফাটিয়েই বিয়েও করলেন।
দেখে শুনে নেটাগিরকেরা কেউ লিখেছেন, ‘কু’নজরের মুখে ঝামা ঘসে দিয়েছো, শুভেচ্ছা তোমাদের!’ আবার কারও মতে, প্রকৃতিও এই দারুণ বিয়ের অংশ হতে চেয়েছে। তাই বৃষ্টি হয়ে নেমে এসেছে তাদের গায়ে মাথায়।