—প্রতীকী ছবি।
দরকারি জিনিসপত্র কিনবেন বলে শপিং মলে গিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। বাড়ি থেকে শপিং মল ছিল দূরে। অনেকটা পথ যাত্রা করার পর শপিং মলে পৌঁছে শৌচালয়ের খোঁজ করতে থাকেন তিনি। তার পর মনের শান্তিতে কেনাকাটা করবেন বলে ভাবেন তিনি। শপিং মলে প্রবেশ করেই সেই তলার শৌচালয়ে ঢুকতে যান ওই ব্যক্তি। কিন্তু দরজার মুখেই বাধা দেওয়া হয় তাঁকে। শপিং মল থেকে কী কী কেনাকাটা করেছেন, তার বিল দেখাতে বলা হয় ওই ব্যক্তিকে। তিনি যে কেনাকাটির আগে শৌচালয় ব্যবহার করতে চেয়েছেন তা জানানোয় ফিরিয়ে দেওয়া হয় ব্যক্তিটিকে। শপিং মলের নিয়ম জানিয়ে ব্যক্তিকে দেওয়া হয় উপযুক্ত ‘শাস্তি’ও। রেডিটে পোস্ট করে সেই ঘটনারই উল্লেখ করেছেন এক ব্যক্তি (যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)।
পোস্ট করে ব্যক্তিটি জানিয়েছেন, বেঙ্গালুরুর একটি শপিং মলে গিয়েছিলেন তিনি। কেনাকাটা করার আগে শৌচালয়ে যেতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শৌচালয়ের দরজার মুখে শপিং মলের এক তরুণী কর্মী বাধা দেন ওই ব্যক্তিকে। ব্যক্তির কাছ থেকে বিল দেখতে চান তিনি। পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করলে ব্যক্তিটিকে শপিং মলের অন্য শৌচালয়গুলি ব্যবহার করার নির্দেশ দেন তরুণী। সেখানে উপস্থিত ছিলেন আরও এক ক্রেতা। তিনি বিল দেখালেও তাঁকেও শৌচালয় ব্যবহারের অনুমতি দিলেন না তরুণী।
তরুণীর দাবি, নীচের তলার শৌচালয়টি শুধুমাত্র বিশেষ ক্রেতারাই ব্যবহার করতে পারবেন। তরুণী বলেন, ‘‘যে ক্রেতারা শপিং মল থেকে কমপক্ষে এক হাজার টাকার কেনাকাটা করবেন, তাঁরাই একমাত্র এই শৌচালয় ব্যবহার করার অনুমতি পাবেন। বাকি ক্রেতারা শপিং মলের অন্য ফ্লোরে যে শৌচালয়গুলি রয়েছে, সেগুলি ব্যবহার করবেন।’’ শপিং মল কর্তৃপক্ষের তরফে নাকি এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ব্যক্তিটি পোস্টে লেখেন, ‘‘এক হাজার টাকা বিল করতে পারলে তবেই ভিআইপিদের জন্য শৌচালয় ব্যবহার করা যাবে। আমি অন্য ফ্লোরের প্রতিটি শৌচালয়ে গিয়েছিলাম। কোনওটিই পরিচ্ছন্ন নয়। এমনকি, কোনও কোনও শৌচালয়ে ফ্লাশও খারাপ হয়ে গিয়েছে। এতই অপরিষ্কার যে, ব্যবহার করার যোগ্যই নয়। আলাদা ভাবে বিশেষ ক্রেতাদের জন্য শৌচালয় ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তা মানছি। তা বলে অন্য দিকে নজর দেওয়া হবে না? বেঙ্গালুরু হোক বা অন্য কোনও শহরের শপিং মল, কোথাও আমি এমন ব্যবস্থা দেখিনি। যদি এই নিয়ম পরিবর্তন করা না হয়, তা হলে আমি কোনও দিনও ওই শপিং মলে যাব না। আপনাদের সতর্ক করার জন্য পোস্টটি করলাম।’’