—প্রতীকী ছবি।
সাত বছরের সংসার। সাড়ে তিন বছর বয়সি কন্যাসন্তানও রয়েছে দম্পতির। কিন্তু স্ত্রীর প্রতি যারপরনাই বিরক্ত হয়ে পড়েছেন তরুণ। কারণ, তাঁর স্ত্রী বড্ড বেশি কথা বলেন। সব বিষয়েই নিজের মতামত জানান তিনি। দিনের পর দিন স্ত্রীর এমন আচরণ অসহনীয় হয়ে উঠছে তরুণের কাছে। তাই বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন জানান তিনি।
তরুণ ভোপালের বাসিন্দা। বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন তিনি। তাঁর স্ত্রী একটি বিউটি পার্লার চালান। সাত বছর আগে পরিবারের পছন্দে বিয়ে করেন দু’জনে। সাড়ে তিন বছরের কন্যাসন্তান রয়েছে তাঁদের। কিন্তু তাঁদের পরিবারে যেন অশান্তি লেগেই থাকে। সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিষয়ে ঝগড়া লেগে যায় স্বামী-স্ত্রীর। দু’বছর আগে কন্যাকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে যান তরুণী। তার পর স্ত্রীকে বিবাহবিচ্ছেদ দিতে চান বলে জানান তরুণ।
তরুণ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের দাবি, তরুণী বড্ড বেশি কথা বলেন এবং সকল বিষয়ে নিজের মতামত জানান। এই ব্যবহারেই অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছেন সকলে। তরুণ বিচ্ছেদ চাইলেও সংসার ভাঙতে চান না তরুণী। অন্য দিকে, কন্যার দায়িত্বও সম্পূর্ণ ভাবে নিতে চান না কেউ-ই। পরিবার আদালতের কাউন্সেলর শাইল অবস্তি এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘‘স্বামী-স্ত্রীর অশান্তির কারণে তাঁদের কন্যার ভবিষ্যৎ নষ্ট হচ্ছে। মেয়েটির উপর প্রভাব পড়ছে। আসলে এ পিতৃতান্ত্রিক সমাজের রূপ। নারীদের তাঁরা নিজেদের পরিবারের অংশ হিসাবে চান। কিন্তু নারীদের কোনও মতামত থাকতে পারে তা মেনে নিতে পারেন না। নারীদের নিঃশব্দে সংসার সামলানোই দায়িত্ব বলে মনে করেন তাঁরা। এই দম্পতি তাঁদের সন্তানের দায়িত্ব নিতে চাইছেন না। মনে করছেন, তাঁরা দ্বিতীয় বার বিয়ে করলে এই সন্তানই বাধা হয়ে দাঁড়াবে।’’