জবাবখানা পড়ে বিবাহিতদের একাংশের উপলব্ধি, সরল মনে সারসত্যটিই লিখেছে ওই স্কুলপড়ুয়া। ছবি: সংগৃহীত।
পরীক্ষায় প্রশ্ন এসেছিল, বিয়ে বলতে কী বোঝো? জবাবে এক স্কুলপড়ুয়া যা লিখেছে, তা দেখে হেসে কূল পাচ্ছেন না নেটাগরিকেরা।
আবার লেখাটি পড়ে বিবাহিতদের একাংশের উপলব্ধি, সরল মনে সারসত্যটিই লিখেছে ওই স্কুলপড়ুয়া। তাকে এই উত্তরের জন্য ‘ফুল মার্কস’ দেওয়া উচিত।
কী লিখেছে সে? সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি পরীক্ষার খাতার ছবিতে স্পষ্ট দেখে যাচ্ছে রচনাটি। রুল টানা পাতায় নীল কালি দিয়ে গোটা গোটা ইংরেজি অক্ষরে তাতে লেখা— “বিয়ে তখনই হয়, যখন মেয়ের বাবা-মা তাঁদের মেয়েকে বলেন, ‘তুমি এখন অনেক বড় হয়েছ। তোমাকে আর খাওয়াতে পারছি না। যাও গিয়ে একজন লোককে খোঁজো যে তোমাকে খাওয়াবে’। আবার ছেলের বাড়িতেও আত্মীয়স্বজন তাঁর উপর চিৎকার করতে থাকেন, ‘যাও বিয়ে করো, অনেক বড় হয়েছে’ বলে।’’
রচনা অবশ্য এখানেই শেষ হয়নি। পরীক্ষার্থী লিখেছে, তার পর বিয়ে কী করে হয় এবং বিয়ের পরে কী কী হয়। পরীক্ষার খাতায় পরবর্তী অনুচ্ছেদে লেখা হয়েছে, ‘‘পাত্র-পাত্রী এর পর নিজেদের পরীক্ষা করেন এবং খুশি হন। একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেন এবং তার পর সন্তান পাওয়ার জন্য উল্টোপাল্টা কাজ করতে শুরু করেন।’’
ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে, পরীক্ষার খাতায় বিয়ে সংক্রান্ত রচনাটি লাল কালি দিয়ে কেটে দিয়েছেন পরীক্ষক। পাশে বড় বড় করে লেখা নম্বর। দশে শূন্য পেয়েছে পরীক্ষার্থী। সঙ্গে জুটেছে লিখিত তিরস্কারও। রচনাটিকে ‘অর্থহীন’ বলে মন্তব্য করেছেন পরীক্ষক।
আনন্দবাজার অনলাইন অবশ্য এই ভাইরাল হওয়া ছবির সত্যতা যাচাই করেনি। তবে ছবিটি সমাজমাধ্যমে হাসির রোল তুলেছে।