ছবি: সংগৃহীত।
মারাত্মক বিষধর সাপের কামড় খেয়েও ক্যামেরায় সেই দৃশ্য রেকর্ডিং করতে গিয়ে বিপদে পড়লেন তরুণ সমাজমাধ্যমপ্রভাবী। সাপে কামড়ানোর পর সেই অভিজ্ঞতা কেমন হয় তা জানিয়ে সমাজমাধ্যমে জনপ্রিয় হতে চেয়েছিলেন ডেভিড হাম্পলেট। ২৫ বছর বয়সি এই যুবক ফ্লরিডার ডিক্সি কাউন্টির শিরেড দ্বীপের জঙ্গলে ঘোরাফেরা করছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কয়েক জন বন্ধুও। সেখানেই দেখা মেলে পৃথিবীর সবচেয়ে বিষধর সাপ বলে পরিচিত র্যাটল স্নেকের। শুকনো ডালপালার আড়ালে ঘাপটি মেরে বসেছিল ‘ডায়মন্ডব্যাক র্যাটলস্নেক’। ডেভিডের পায়ে কামড়ানোর পর বিন্দুমাত্র না ঘাবড়ে তিনি দ্রুত এই ঘটনাটি ক্যামেরাবন্দি করতে থাকেন। সেই ভিডিয়োটি পরে ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে।
ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, কামড় খাওয়ার পর নিজের পরনের জিন্স তুলে দেখাতে থাকেন ডেভিড। সেখানে ক্ষতস্থান থেকে রক্ত বেরোতে দেখা গিয়েছে। ডেভিডের বন্ধুরা তাঁকে দেখে হতবাক হয়ে যান। তার পরও ওই সমাজমাধ্যমপ্রভাবী হাসতে হাসতে ভিডিয়ো করে গিয়েছেন। ঘটনার ভিডিয়োটি পরে একটি এক্স হ্যান্ডল থেকে শেয়ার করা হয়েছে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
সেই ভিডিয়োর তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, এ বার তিনি বড় সমস্যায় পড়েছেন। তিনি ডায়মন্ডব্যাক র্যাটল স্নেকটিকে ফ্লরিডায় কামড়ানোর ‘সবচেয়ে ভয়ঙ্কর’ সাপ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। ক্রমে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে হেলিকপ্টারে উড়িয়ে হাসপাতালে আনা হয়। বিষের প্রভাবে ডেভিডের পায়ের পাতা থেকে মাথা পর্যন্ত অসাড় হয়ে গিয়েছিল। তাঁকে ৪৪টি অ্যান্টিভেনম ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে গিয়েছিল, তাঁর পা বাদ দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন চিকিৎসকেরা। হাসপাতালে ভর্তির পর তাঁর ক্ষতিগ্রস্ত পায়ের ছবিও ভিডিয়োয় দেখিয়েছেন ডেভি়ড। এই ঘটনার পর দু’সপ্তাহ ধরে হাসপাতালেই রয়েছেন তিনি।