—প্রতীকী চিত্র।
রেস্তরাঁয় জন্মদিনের পার্টি দিয়েছিলেন এক যুবক। কিন্তু কেকটি কেনা হয়েছিল অন্য দোকান থেকে। কারণ রেস্তরাঁর মেনুতে কেক বা পেস্ট্রি জাতীয় কোনও পদ ছিল না। ভুল বা অপরাধ বলতে এটুকুই। পার্টি শেষে যার ‘শাস্তি’ পেলেন তিনি। রেস্তরাঁ তাঁকে বুঝিয়ে দিল খাবার হোক পরিষেবা কোনও কিছুই বিনামূল্যে পাওয়া যায় না।
যুবকের নাম ফ্যাবিও ব্রেগোলাটো। তিনি ইতালিরই একটি পিৎজার রেস্তরাঁয় আয়োজন করেছিলেন জন্মদিনের অনুষ্ঠানের। সমাজ মাধ্যমে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়ে ফ্যাবিও লিখেছেন, ‘‘আমরা ১০ জন ছিলাম। রেস্তরাঁটির খাবার নিয়ে কোনও কথা হবে না। কিন্তু ওরা যে ভাবে কেক কাটার জন্য আমাদের গলা কেটেছে, তা মেনে নেওয়া যায় না।’’
বাইরে থেকে কিনে আনা কেকটি রেস্তরাঁরই এক কর্মীকে কেটে দিতে বলেছিলেন ফ্য়াবিও। সেই কর্মী কেক কেটে প্রত্যেককে পরিবেশনও করে দেন। কিন্তু পার্টি শেষে বিল মেটাতে গিয়ে ফ্যাবিও দেখেন, ওই কেক কেটে পরিবেশনের জন্য দাম নিয়েছে রেস্তরাঁ। অতিরিক্ত পরিষেবার জন্য অতিরিক্ত ১৫ ইউরো যোগ করা হয়েছে বিলে। যা ভারতীয় মুদ্রায় ১৩৩১ টাকার সমান।
ফ্যাবিও জানিয়েছেন, ওই কেকটি তাঁরা সঙ্গে এনেছিলেন রেস্তরাঁর অনুমতি নিয়েই। তারাই বলেছিল, রেস্তরাঁর মেনুতে কেক না থাকলেও তাঁরা বাইরে থেকে কেক কিনে আনতে পারেন। তবে সেই কেক শুধু কেটে পরিবেশন করার জন্য ১৩৩১ টাকা চাওয়া হতে পারে, তা ভাবতেই পারেননি ফ্যাবিও।
সমাজ মাধ্যমে এ ব্যাপারে ফ্যাবিওর পোস্ট ভাইরাল হতেই রেস্তরাঁটি জানিয়েছে, ‘‘আমরা কোনও ভুল করিনি। আমরা আমাদের সমস্ত কর নিয়মিত মেটাই। রেস্তরাঁয় আসা ওই অতিথির থেকে আমরা অনায্য কিছু দাবি করিনি। আমরা ওঁকে পরিষেবা দিয়েছি। তার বিনিময়েই মূল্য দাবি করেছি। পরিষেবার তো দাম আছেই।