ছবি: সংগৃহীত।
পাওনার লোভে গণবিবাহে বিয়ের পিঁড়িতে বসে পড়লেন নকল বর। কিন্তু ধরা পড়তেই ভেস্তে গেল পরিকল্পনা। দু’হাজার টাকার বিনিময়ে ভাড়া করা বরের কীর্তি ফাঁস হতেই শোরগোল পড়ে গেল গণবিবাহের আসরে। সাত পাক ঘোরার আগেই জানতে পারা যায় এক জন যুবক নকল পাত্র সেজে বিয়ের মণ্ডপে হাজির হয়েছেন। নকল বর ধরা পড়লেও গণবিবাহের কর্মকর্তারা কোনও আইনি ব্যবস্থা না নিয়ে তাঁকে বিয়ের মণ্ডপ থেকে তাড়িয়ে দেন বলে জানা গিয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের বাগপতে ইন্দ্রদেব ইনস্টিটিউট হলে বসেছিল গণবিবাহের অনুষ্ঠানটি। সেখানে প্রায় ৩০০ জন তরুণীর বিয়ের আবেদন জমা পড়েছিল। তার থেকে বাছাই করে ২৬৫ জন পাত্রীর বিয়ের আয়োজন করা হয়। সেই মতো ফুল, মালা দিয়ে সাজানো হয় বিয়ের আসর। ছিল ব্যান্ড-পার্টি ও সানাইয়ের ব্যবস্থাও। বিয়ের আচার শুরু হওয়ার পর সাত পাক ঘোরার পালা আসতেই এক যুবককে দেখে সন্দেহ জাগে কর্মকর্তাদের মনে। ওই যুবকের আধার কার্ড দেখতেই ধরা পড়ে, তিনি অন্য এক জনের পরিবর্তে বর সেজে বিয়ের আসনে বসে পড়েছেন। জেলার এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, বিয়েতে নাম নথিভুক্ত করার পরেও এক জন পাত্র অনুপস্থিত ছিলেন। তাঁর পরিবর্তে অন্য এক যুবক বিয়ে করতে চলে আসেন। তাঁকে ভাড়া করে আনা হয়েছিল, না তিনি পাওনার লোভে এই কাজ করেছেন সে বিষয়ে সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি। উপস্থিত অতিথিদের দাবি, দু’হাজার টাকা ও অন্যান্য দানসামগ্রীর লোভেই নকল বর সেজে চলে আসেন ওই যুবক।