—প্রতীকী চিত্র।
মুড়ি খেতে ভালবাসে বাঙালি। চপ-মুড়ি, ঝালমুড়ি, ঘুগনি-মুড়ি, চানাচুর-মুড়ি এমনকি, কিছু না পেলে গুড়-মুড়ি কিংবা মুড়ির সঙ্গে বাতাসাও মেখে খায় বাঙালি। ফলে মুড়িতে বাঙালি বিশেষজ্ঞ। কিন্তু এ হেন বাঙালিও তন্দুরি মুড়ির কথা শুনেছে বলে মনে হয় না।
তন্দুর বলতে যা বোঝায়, সেই উনুনের সঙ্গে মুড়ির আজীবনের সম্পর্ক। উনুনের আঁচেই তো তৈরি হয় এই কুড়মুড়ে স্বাদের উৎস। কিন্তু সম্প্রতি সমাজ মাধ্যমে যে তন্দুরী মুড়ি বা তন্দুরী ভেলের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে, তার সঙ্গে উনুনেের কোনও সম্পর্ক নেই।
ভোপালের এক চাটওয়ালার তৈরি এই মুড়ি চাটের রেসিপিতে বরং ব্যবহার করা হয়েছে, যান্ত্রিক আগুনের শিখায় পোড়ানো আনাজপাতি— ক্যাপসিকাম, টমাটো, পেঁয়াজ, লঙ্কা ইত্যাদি। আর রয়েছে তন্দুরী মেয়োনিজ সস আ চিজের মাত্রা ছাড়া ব্যবহার চানাচুর মাখানো মুড়িকে আধ পোড়া আনাজপাতির সঙ্গে জম্পেশ করে মেখে তার উপর তন্দুরী মেয়োনিজ সস আর চিজ ছড়িয়ে আবার আগুনের শিখায় পোড়ানো হয়েছে।
এই মুড়ি চাটের ভিডিয়ো দেখে খাদ্যপ্রেমীরা রায় দিয়েছেন, জীবনে মুড়ি খাবেন না, তা-ও ভাল, তবু এই মুড়ি খাবেন না।