প্রতীকী ছবি।
ছেলেটি সারারাত জেগে কথা বলছিল ফোনে। দু'বার ছাদে উঠে উত্তেজিত ভাবে কথা বলতেও দেখা গিয়েছে। সকালে তাকে পাওয়া গেল তাদের আট তলা আবাসনের নীচে। মাটিতে মুখ থুবড়ে পড়েছিল তার শরীর। রক্তে ভেসে যাচ্ছিল চারপাশ।
১৭ বছরের ওই কিশোর ঝাঁসির বাসিন্দা। তার বাবা-মা দিল্লি গিয়েছিলেন একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে। বাড়িতে রেখে গিয়েছিলেন ১৭বছরের ছেলে এবং ছোট মেয়েকে। তার মধ্যেই এই ঘটনা। পুলিশ তদন্ত করতে এসে জানিয়েছে, ঘটনাটি সম্ভবত আত্মহত্যার। কারণ আট তলার যে ছাদ থেকে ছেলেটি পড়ে গিয়েছে বলে অনুমান, সেই ছাদের মেঝেতে ধুলোর মধ্যে লেখা ছিল ‘সরি’।
আবাসনটির চারতলায় ছেলেটির বাড়ি। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জানিয়েছে, ছেলেটিকে গভীর রাতে আটতলার ছাদে উত্তেজিত ভাবে কথা বলতে দেখা গিয়েছে। সকালে আবাসনের রক্ষী তাকে দেখতে পায়। তার পরই খবর দেয় আবাসনের অন্য বাসিন্দাদের।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই কিশোরের বাবা জি এস টির কর্তা। আপাতভাবে পুলিশ ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে মনে করলেও এ নিয়ে তদন্ত চলছে।