প্রতিবেদন: তীর্থঙ্কর, সম্পাদনা: শুভাশিস
শহীদ মিনারের সামনে ৪৮ দিন ধরে অবস্থানে বসে আছেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। সংগ্রামী যৌথমঞ্চের তাঁবুতে ৩৪ দিন ধরে ধরে চলছে অনশন। বার বার মিছিলে হেঁটেছেন, দ্বারস্থ হয়েছেন আদালতের। রাজ্যপালের আমন্ত্রণে তাঁর সঙ্গে রাজভবনে বৈঠকেও বসেছেন। এ বারে কেন্দ্রীয় সরকারের হারে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে সরকারের উপর চাপ বাড়াতে নয়া পদক্ষেপ সরকারি কর্মীদের। আগামী ১৮ মার্চ থেকে ‘ডিজিটাল অসহযোগিতা’র ডাক সংগ্রামী যৌথমঞ্চের। সিদ্ধান্ত, সে দিন সব সরকারি হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যাবেন কর্মীরা। সকাল ১০টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৫টে ৩০ মিনিটের আগে এবং পরে তাঁরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কোনও নির্দেশ মানবেন না। ছুটির দিন দফতরের কাজ করবেন না। অফিসের বাইরে অনলাইন মিটিং করবেন না। এমনকি ব্যক্তিগত ফোন, কম্পিউটার বা ডেটা ব্যবহার করে অফিসের কোনও কাজ করবেন না। এর জন্য চলতি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় কোনও সমস্যা হবে না বলেই দাবি আন্দোলনকারীদের। আন্দোলনকারী এক সরকারি স্কুলশিক্ষকের বক্তব্য, সরকার যদি ইচ্ছাকৃত রাতের বেলায় কোনও নির্দেশিকা না পাঠায়, তাহলে উচ্চ পরীক্ষার্থীদের অসুবিধার মুখে পড়তে হবে না। দাবি না মিটলে লাগাতার ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় সংগ্রামী যৌথমঞ্চের তরফে।