২ কোটি মহিলাকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-সহ আরও একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার নবান্ন সভাঘর থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, আগামী দিনে খরা কবলিত এলাকায় প্রয়োজনে পাম্প ব্যবহার করে পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। একই সঙ্গে তাঁর আরও নির্দেশ, বর্ষাকাল আসার আগেই সেচ পরিষেবাকে সচল রাখতে যেন আগাম বন্দোবস্ত করা হয়। কোথাও কোনও মেরামতির প্রয়োজন হলে তাও যেন সঠিক সময়ে শেষ হয়, সে বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এখানেই শেষ নয়, এ দিন গঙ্গা ভাঙন রোধে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি টাস্ক ফোর্স গঠনেরও নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে তাঁর মন্তব্য নিয়ে ‘সতর্ক’ করেছেন তিনি। সম্প্রতি গঙ্গা ভাঙন নিয়ে পার্থ ভৌমিক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “গঙ্গা ভাঙন রোধের কাজ আমরাই (পশ্চিমবঙ্গ সরকার) হাতে নিয়ে করব।” এই মন্তব্য প্রসঙ্গেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পার্থ ভৌমিকের উদ্দেশে করে বলেন, “ছাড়পত্রই আসেনি। গঙ্গা ভাঙন রোধে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করার সামর্থ্য আমাদের নেই।” আরও এক ধাপ এগিয়ে তাঁর বক্তব্য, “তোমরা তো মন্তব্য করেই খালাস, কাগজে খবর হওয়ার জন্য বাড়তি কথা আমি বলব না।” তারপরই গঙ্গা ভাঙন রোধে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে টাস্ক ফোর্স গঠনের নির্দেশ তিনি। এমনকি যারা গঙ্গা পারের কাছাকাছি থাকেন, যাদের ঘরবাড়ি, জমি তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, তাঁদের অন্যত্র স্থানান্তরিত করার কথাও বলেন। প্রয়োজনে সরকারি জমিতে সঙ্কটাপন্ন মানুষকে স্থানান্তরিত করার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।