প্রতিবেদন: প্রচেতা, সম্পাদনা: সুবর্ণা
আংটি বিতর্কে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের সুপার দেবাশিস চক্রবর্তীকে তলব। ৯ মাসেও কেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত থেকে আংটি খোলা যায়নি? নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে কেন বিশেষ সুবিধা দেওয়া হল? কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের সুপার দেবাশিস চক্রবর্তীকে প্রশ্ন সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের। উত্তরে দেবাশিস চক্রবর্তীর সাফাই, “পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আঙুল মোটা, আংটি খোলার চেষ্টা করা হলেও শারীরিক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কায় শেষ পর্যন্ত তা খোলা যায়নি।” এই যুক্তির সমর্থনে ‘মেডিক্যাল রিপোর্ট’ দেখতে চান বিচারক। জবাবে জেল সুপার বলেন, ‘মেডিক্যাল রিপোর্ট’ রয়েছে তদন্তকারী অফিসারের হাতে। এরপরই কার্যত দেবাশিস চক্রবর্তীকে ভর্ৎসনা করে বিচারক বলেন, “আপনারা ৯ মাসে তাঁর হাতের আংটি খুলতে পারলেন না, আর তিনি ৯ মিনিটের চেষ্টায় আংটি খুলে ফেললেন।” ভার্চুয়াল শুনানিতে পার্থের আংটি খোলার বিষয়টিকে সামনে রেখে দেবাশিস চক্রবর্তীকে সঠিকভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন বিচারক। তিনি বলেন, “আপনি সংশোধনাগারের সকল বন্দির অভিভাবক। বন্দিদের পরিষেবা সংক্রান্ত অনেক অভিযোগ আমাদের কাছে আসে। সেখানে কোনও একজন বন্দিকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি একেবারেই সমিচীন নয়।” ৫০ মিনিটের এই সওয়াল জবাবের মধ্যেই ইডি-র আইনজীবীর তরফে ফের একবার ‘প্রভাবশালী তত্ত্ব’ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা হয়। এমনকি প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে অভিযুক্তকে ভিন রাজ্যে কেন স্থানান্তরিত করা হচ্ছে না, সে প্রশ্নও তোলা হয়।