পুরুলিয়ার পাড়া ব্লকের বরণডাঙার মেয়ে আনুষী। বাবা মাদ্রাসার শিক্ষক, মা সেই মাদ্রাসারই অশিক্ষক কর্মী। আরও অনেকের মতোই ছোট থেকেই গল্প-কবিতা লেখায় মন মেয়ের। তবে আনুষীর সৃজন শুধু শব্দেই আটকে থাকে না। এক আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় নাম লিখিয়ে আর এক দুঃসাহসী কাজ করে ফেলেন ১৫-১৬ বছরের কিশোরী। পুলওয়ামা হামলার উপর আলো-ছায়ার কারসাজিতে শব্দ সাজিয়ে নিজেই বানিয়ে ফেলেন ছোট্ট একটি ভিডিয়ো।
আনুষীর কবিতা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ১৩৭টি দেশের প্রায় ৫০ হাজার প্রতিযোগীর রচনার মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে। ভৌগোলিক এবং আর্থ-সামাজিক ভাবে পিছিয়ে থাকা এলাকায় আনুষীর বাস। আনুষীর প্রতিদ্বন্দ্বীরা অনেকেই আন্তর্জাতিক মানের বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী। আনুষীর কথায় বার বার উঠে আসে তাঁর স্কুলের প্রসঙ্গ। স্কুলের পরিবেশই গড়েপিঠে নিয়েছে তাঁকে, এমনটাই বক্তব্য আনুষীর। অপর দিকে আনুষীর শিক্ষিকারা ছাত্রীর সাহিত্যের প্রতি আগ্রহকেই বেশি নম্বর দিতে চান। স্কুল, পরিবেশ, পরিবার— সবার সান্নিধ্যে সাহিত্যের ফল্গুধারায় গা ভাসিয়েছেন হার-না-মানা এই কিশোরী। পরের গন্তব্য কোথায়?